দু’ধারে কাজুর বন পেরোনর পর তার ঠিকানা। এখানে প্রকৃতি হাতে নিয়েছে তুলি। পাথুরে ভূমির উপর সে এঁকেছে অপরূপ ভাস্কর্য। সে ভূমিরূপে লেপটে গেরুয়া। আনাচ কানাচে কখনও ধূসর। আগুন রাঙা লাল রূপসী বাংলা। রঙের ঘেরাটোপের মাথায় চুঁইয়ে পড়ছে আকাশ। পাশে শীলাবতী নদী। মেদিনীপুর শহর থেকে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে মাত্র পঁয়ত্রিশ কিলোমিটার। রূপের আঁচে ফুটছে গনগনি। আমেরিকার মত বাংলার গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন।
advertisement
শীলাবতী নদীর পাড় ক্ষয় হয়ে তৈরি গনগনির ভূমিরূপ। গুহা-সহ একাধিক শিলাবিন্যাস দেখা যায়। নদীতে নামার জন্য সিঁড়ি তৈরি হয়েছে ইতিমধ্যেই। শীতকালে পিকনিক করতে আসতেন অনেকে। কিছু স্থানীয় মানুষও আসতেন। থাকার জন্য হোটেল ছিল না। মুখ্যমন্ত্রী ক্ষমতায় এসে পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা করেন। রূপসী গনগনি আরও সেজে উঠছে।
পর্যটনকেন্দ্র গনগনি
------------------------
- প্রশাসনিকভাবে ডিপিআর তৈরি হয়েছে
- পর্যটকদের জন্য কটেজ, শৌচাগার
- পানীয় জলের ব্যবস্থা
- উদ্যোগী পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদও
পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে সেজে ওঠার পর গনগনিকে বাইরে থেকে মানুষের আসাযাওয়া লেগেই থাকবে। স্থানীয়রা দোকানগুলিতে বিক্রি বাড়বে। বাড়বে কর্মসংস্থান। গনগনিতে ওড়িশা স্থাপত্যের নিদর্শন সর্বমঙ্গলা কালীমন্দির আছে। এছাড়াও আশপাশে আরও কয়েকটি মন্দির। কোনওরকম বিপত্তি এড়াতে গনগনিতে বিভিন্নরকম সতর্কতার নোটিসও লাগানো হয়েছে। এই বাংলার পর্যটনে রং ধরিয়েছে গনগনি।