জানা গিয়েছে, উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থা রায়গঞ্জ ডিপো থেকে বেলা ১১.১৫ মিনিটে বালুরঘাটের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। অনেক যাত্রী নিয়ে উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহনের বাসটি কালিয়াগঞ্জ বিবেকানন্দ মোড়ে পৌছাতেই কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশ এবং সিভিক ভলেন্টিয়াররা গাড়িতে আগুন দেখতে পান। সিভিক ভলেন্টিয়াররা দৌড়ে বাস চালককে গাড়িটিকে রাস্তার ধারে দাঁড় করাতে বলে চিৎকার করতে থাকেন।সিভিকদের চিৎকারে যাত্রীরাও আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। বাস চালক সুব্রত ব্যানার্জী রাস্তার ধারে গাড়ি দাঁড় করান। বাস দাড়াতেই যাত্রীদের বাস থেকে নামার হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। কেউ গেট দিয়ে কেউ আবার জানালা বেয়ে বাস থেকে নামেন। বাস চালক কোনোক্রমে নামতেই আগুন ভয়াবহ আকার নেয়। কালো ধোয়ায় গাড়ি ছেয়ে যায়। আতঙ্কে যাত্রীরাও চিৎকার চেচামেচি শুরু করেন।
advertisement
ট্রাফিক পুলিশ এবং স্থানীয় বাসিন্দারা দমকল বাহিনীকে খবর দেয়।দমকলের একটি ইঞ্জিন গিয়ে আগুন নিভিয়ে ফেলে। যাত্রীরা প্রত্যেকেই সুরক্ষিত বলে জানিয়েছেন গাড়ির চালক সুব্রত ব্যানার্জী। হুড়োহুড়িতে নামতে গিয়ে এক যাত্রী পায়ে সামান্য আঘাত পেয়েছেন। এই ঘটনার পর যাত্রীদের অন্য গাড়িতে গন্তব্যস্থলে পাঠিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। বাসের এক মহিলা যাত্রী জানান, সরকারি বাসে তিনি রায়গঞ্জ থেকে পতিরামে যাচ্ছিলেন। আচমকাই যাত্রীরা চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করেন।তিনি কিছু বুঝে ওঠার আগেই তাঁকে গাড়ি থেকে ঠেলে নীচে নামিয়ে দিয়েছেন। আজিজুল হক নামে এক যাত্রী জানান, তিনি গঙ্গারামপুরে যাচ্ছিলেন। বাসটি কালিয়াগঞ্জে আসতেই গাড়িতে ধোয়ায় ভরে যায়। সিভিক ভলেন্টিয়াররা গাড়িতে আগুন দেখতে পেয়ে গাড়িটিকে রাস্তার ধারে দাঁড় করায়। তাঁরা নিরাপদেই গাড়ি থেকে নামতে পেরেছেন।গাড়ির চালক সুব্রত ব্যানার্জী জানান, গাড়ির সব রকম পরীক্ষা করে ডিপো থেকে বের করে বালুরঘাটের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিলেন। গাড়ির কোনও সমস্যা অনুভব করেননি। কালিয়াগঞ্জে গাড়িটি পৌঁছতেই গাড়িতে পোড়া গন্ধ পাচ্ছিলেন। কর্তব্যরত সিভিক ভলেন্টিয়ার চিৎকার শুনে তিনি বুঝতেই পারেননি। তিনি ভেবে ছিলেন অন্য কোথাও আগুন লেগেছে। যখন তাঁর গাড়ি সাইড করার জন্য চিৎকার করেন তখন তাঁর সম্বিত ফেরে। স্থানীয় মানুষ, সিভিক ভলেন্টিয়ারের তৎপরতায় বড় ধরনের দুর্ঘটনা হাত থেকে বাঁচলেন। স্থানীয় মানুষ দ্রুত দমকল বাহিনীকে খবর দেয়। দমকল পৌছে আগুন নিভিয়ে ফেলে।তার ধারনা শর্ট সার্কিট থেকেই আগুন লেগেছে।