TRENDING:

মেলে না বাধর্ক্যভাতা, মৃত্যুর পথ চেয়ে বসে থাকা বয়স্ক যৌনকর্মীদের সাহায্যের আশ্বাস এলাকার বিধায়কের

Last Updated:

লোকে যতই নরকগুলজার বলুক। সময়টা কাটত ভালোই। দরজার ওপারে লাইন দিয়ে অপেক্ষায় সমাজের তথাকথিত বিশিষ্টজনেরা।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#উত্তর দিনাজপুর: লোকে যতই নরকগুলজার বলুক। সময়টা কাটত ভালোই। দরজার ওপারে লাইন দিয়ে অপেক্ষায় সমাজের তথাকথিত বিশিষ্টজনেরা। একটু স্পর্শ। সুরার মায়ায় আচ্ছন্ন শরীর-মন। অবলীলায় লুটিয়ে দিতেন হাজার হাজার টাকা। আর এখন শুধু বাঁচার লড়াই। মৃত্যুর পথ চেয়ে বসে থাকা উত্তর দিনাজপুরের নূরজাহান, ফতেমা, রূপলেখা, মোহিনীদের গল্প আজ আমার বাংলায়।
advertisement

অশক্ত শরীর। সহায়সম্বলহীন। কপর্দকশূন্য। রোজগার নেই। নেই বার্ধক্য ভাতা। বা অন্যান্য সরকারি সুযোগ সুবিধা। প্রতি মূহূর্তে চলছে বেঁচে থাকার অসম লড়াই। তবু বেঁচে আছেন উত্তর দিনাজপুরের পাঞ্জিপাড়ার বৃদ্ধা নূরজাহান, ফতেমা, রূপলেখা, মোহিনীরা। লাল রঙের পৃথিবীর বাসিন্দা এঁরা। ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারের প্রাচীন এই পাড়া জেলার সবচেয়ে বড় রেড লাইট এলাকা। পতিতা, গণিকা, দেহব্যবসায়ী--এইসব তকমা তো কবেই মুছে গেছে। এঁরা এখন কর্মী। যৌনকর্মী। আড়াইশো জন যৌনকর্মীর এ পাড়া সন্তর্পণে এড়িয়ে চলেন এলাকার মানুষজন।

advertisement

শুধু নূরজাহান নন। একই হাল বাকিদেরও। বয়স ষাট পেরিয়েছে। অজস্র বলিরেখা পড়া মুখে অনিশ্চিত ভবিষ্যতের ছাপ। একটা সময়ে সমাজের দামী মানুষজন আসতেন তাঁদের কাছে। তাঁদের চোখের ইশারায়, নাচের ছন্দে, শরীরের হিল্লোলে বাঁধা পড়তেন তাঁরা। সুরা, মজলিশে বেশ কেটে যেত দিনরাত। টাকার চিন্তা ছিল না। কিন্তু বয়স কেড়ে নিয়েছে সব। এখন দুবেলা খাবারই জোটে না তাঁদের।

advertisement

বয়স্ক যৌনকর্মীদের সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন এলাকার বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী গোলাম রব্বানি।

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
'আসছে বছর আবার হবে'! দিঘার সমুদ্রে বিলীন দেবী দুর্গা, ঢেউয়ের গর্জনে মিশল বিদায়ের সুর
আরও দেখুন

এঁদের গল্প নতুন নয়। জীবনের শেষ প্রান্তে পৌঁছে বয়স্ক যৌনকর্মীদের একই হাল হয় সব জায়গায়। যৌবনের জৌলুস হার মানে বলিরেখা ঢাকা মুখ ও শরীরের কাছে। তবু থামে না জীবন। এভাবেই বেঁচে থাকতে হয়। নিজেদের বাঁচিয়ে রাখতে হয়।

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
মেলে না বাধর্ক্যভাতা, মৃত্যুর পথ চেয়ে বসে থাকা বয়স্ক যৌনকর্মীদের সাহায্যের আশ্বাস এলাকার বিধায়কের