মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ”কেন্দ্রকে ১৩০০ কোটি টাকার প্রস্তাব দিয়েছি। ওরা কোনও খরচ করছে না। ফরাক্কার জন্য টাকা পাই সেই টাকা দেয়নি। ৮০০ কোটি টাকা দিয়ে ভাঙন প্রতিরোধে কাজ করেছি আরও ১৭৫ কোটি টাকার কাজ হবে।”
তিনি জানান, ৪৩৯ কোটি টাকার কান্দি মাস্টার প্ল্যান তৈরি করা হয়েছে। জলস্বপ্ন প্রকল্পে ১৬ লাখ ৭৮ হাজার বাড়িতে জল পৌঁছে দেওয়া হবে আগামিদিনে। ১৩৮৬ কোটি টাকা খরচ করে ৭ লক্ষ ৮ হাজার বাড়িতে জলের সংযোগ পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। এই বন্যা কবলিত এলাকাকে উদ্ধার করতে ইতিমধ্যেই রাজ্য সেচ দফতর একাধিক সার্ভে করেছে। কিন্তু রাজ্যের পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না বাঁধ নির্মাণ করে পরিস্থিতিকে সামাল দেওয়ার।
advertisement
আরও পড়ুন- মাধ্যমিকের পর উচ্চমাধ্যমিকেও ভাল ফল! নরেন্দ্ররপুরের পাশাপাশি সফল সোনারপুর বিদ্যাপীঠ
সেই আশঙ্কা থেকেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন ফের একবার কেন্দ্রীয় সরকারকে নিশানা করলেন। কালিয়াচক ২ ব্লকের পঞ্চনন্দপুর সংলগ্ন কেবি ঝাউবোনা গ্রাম পঞ্চায়েতের পুরোটাই তলিয়ে গেছে গঙ্গায় । কিন্তু কোনও স্থায়ী সমাধান আজও মেলেনি। বোল্ডার ফেলে কোনওরকমে ভাঙন আটকানোর কাজ চলে।
গঙ্গা-ফুলহর-মহানন্দা ঘেরা মালদা জেলা। কাগজে-কলমে এই জেলার আয়তন ৩৭৩৩ বর্গ কিলোমিটার। মৌজার সংখ্যা ১৮১৪। গ্রাম পঞ্চায়েত রয়েছে ১৪৬’টি । কিন্তু বাস্তবে এই হিসাব মেলে না। সত্তরের দশক থেকে গঙ্গা ভাঙন এই হিসাবের অনেকটাই ওলট-পালট করে দিয়েছে । একাধিক মৌজার সঙ্গে পুরো একটি গ্রাম পঞ্চায়েত চলে গিয়েছে গঙ্গা গর্ভে। একই চেহারা মুর্শিদাবাদেও। ইতিমধ্যেই রাজ্যের তরফে একটা মাস্টার প্ল্যান তৈরি করা হয়েছে। সেই মোতাবেক কাজ শুরু হয়েছে।