সূর্যাস্তের অপেক্ষা। সূর্য গঙ্গায় ডুব দিতেই জ্বলে ওঠে কয়েকশো প্রদীপ। ঘণ্টা নেড়ে ফুল হাতে সমবেত কণ্ঠে উচ্চারিত হয় মন্ত্র। মা গঙ্গার বিশেষ পুজো শেষে ঘিয়ে ডোবানো সলতেয় জ্বলে ওঠা পঞ্চপ্রদীপ হাতে পুরোহিতরা শুরু করেন গঙ্গা আরতি। এই আরতি দেখতে গঙ্গাবক্ষে জড়ো হন কয়েক হাজার পর্যটক। এমনকী এই আরতি দেখতে বিদেশ থেকেও আসেন বহু পর্যটক।
advertisement
বছরের ৩৬৫ দিন বারাণসীর দশাশ্বমেধ ঘাটে ও হরিদ্বারে এই গঙ্গা আরতির আয়োজন থাকে। পর্যটক আকর্ষণ বাড়াতে বহরমপুরে শুরু হয়েছে গঙ্গা আরতি। বারাণসীর ধাঁচে বহরমপুরের খাগড়া এলাকায় গুরুদাস তারা সুন্দরী ইনস্টিটিউটের অপরপ্রান্তে গঙ্গার ঘাটে এবার থেকে শুরু হল গঙ্গা আরতি। কার্যত দীর্ঘদিন ধরেই শহরবাসীর দাবি ছিল, হরিদ্বার অথবা বারাণসীর ঘাটের আদলে এই শহরেও গঙ্গার ঘাটে হোক আরতি। কার্যত শহরবাসীর এই কথা ভেবেই বহরমপুর ভারত সেবাশ্রম সংঘের পক্ষ থেকে ও সৃষ্টি সুখ সঙ্গীত নিকেতনের প্রচেষ্টায় সপ্তাহে বিশেষ বিশেষ দিনে গঙ্গা আরতি করা হবে। এই গঙ্গা আরতি শুরু হওয়ার পর খুশি প্রকাশ শহর বহরমপুরে সাধারণ মানুষের।
আরও পড়ুন : ধূসর পর্দায় অস্পষ্ট চারদিক, ব্যাহত জনজীবন, শীত-সকালে ঘিরে ধরে কুয়াশা যখন
উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, ‘‘দীর্ঘ দিন ধরেই শহরের মানুষের চাহিদা ছিল বেনারসের আদলে গঙ্গা আরতি করার। আমরা সেই মতো সৃষ্টি সুখ সংগীত নিকেতনের সহযোগিতা নিয়ে গঙ্গা আরতি শুরু করেছি। মুর্শিদাবাদ জেলাতে ইতিহাসের টানে পর্যটকরা আসেন। এবার পর্যটকরা ইতিহাসের পাশাপাশি বহরমপুরে এসে এই গঙ্গা আরোতির স্বাদ নিতে পারবেন ভাগীরথী নদীর তীরে বসেই।’’