পদ্ম শিবিরের এরাজ্যের প্রধান মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য শাসক দলের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে বলেন, ‘‘একদিকে মহম্মদ সেলিমের নেতৃত্বে কমিউনিস্ট পার্টি অফ মৌলবাদী তৈরি করেছেন, আর অন্যদিকে তৃণমূল দল তাতে ধোঁয়া দিচ্ছে।’’ ফুরফুরা শরিফ উন্নয়ন পর্ষদ তথা এফএসডিএর নতুন কমিটির মাথায় আর থাকলেন না রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ৷ নতুন দায়িত্ব দেওয়া হল রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা আদি সপ্তগ্রামের তৃণমূল বিধায়ক তপন দাশগুপ্তকে। দীর্ঘদিন ধরে হুগলি জেলার সংগঠন সামলেছেন তিনি ৷ রাজনীতিতে বেশ পরিচিত মুখ। সেই সুবাদেই তিনি তাঁর পরিচিত বৃত্তে দায়িত্ব পেলেন বলে অনেকে মনে করছেন।
advertisement
আরও পড়ুন- রাশিফল ৮ মার্চ; দেখে নিন কেমন যাবে আজকের দিন
প্রথম যখন এই উন্নয়ন পর্ষদ তৈরি হয়, তখন ফিরহাদ হাকিম ছিলেন চেয়ারম্যান। এই উন্নয়ন পর্ষদ রাজ্যের নগরায়ণ দফতরের অধীনে। ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটের আগে পুরনো কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়েছিল। অস্থায়ীভাবে ফুরফুরা উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান ছিলেন হুগলির জেলাশাসক। আগে ফুরফুরার সঙ্গে তৃণমূলের পক্ষ থেকে সমন্বয় রাখতেন মুকুল রায়। মুকুল রায় শিবির বদলানোর সঙ্গে সঙ্গেই ফুরফুরার পীরজাদাদের সমীকরণেও বদল এসেছে। আব্বাস সিদ্দিকি রাজনৈতিক ভাবে গুরুত্বপূর্ণ হয়েছেন, আইএসএফ বলে রাজনৈতিক দল তৈরি হয়েছে, নওশাদ সিদ্দিকির বিধায়ক হওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে। এরই মধ্যে নওশাদ সিদ্দিকির গ্রেফতার হওয়া আর তাঁকে ঘিরে রাজনৈতিক আবর্ত যেভাবে রচিত হয়েছে তা নিয়ে নানা চর্চা শুরু হয়েছে।
এই অবস্থায় তপন দাশগুপ্তর দায়িত্ব পাওয়া গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে ৷ ফিরহাদ হাকিম অবশ্য জানিয়েছেন, ২০২১-এর বিধানসভা ভোটের পরে আর নতুন করে দায়িত্বে তিনি ছিলেন না ৷ জেলাশাসক সামলাতেন। অন্যদিকে তপন দাশগুপ্ত জানিয়েছেন, আজ, বুধবার তিনি ফুরফুরা শরিফ যাবেন৷ কথা বলবেন পীরজাদাদের সঙ্গে৷ সামগ্রিক পরিস্থিতিতে ফিরহাদকে ফের ফুরফুরা উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান না করা তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন রাজনীতির বিশ্লেষকদের একাংশ। বাংলার রাজনীতিতে বরাবরই ফুরফুরা শরিফের একটা বড় ভূমিকা রয়েছে। এবার সেই শরিফের উন্নয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আচমকা বদল করা নিয়ে শুরু হয়েছে জোর চর্চা।