খেলায় অংশ নেন মোট আট জন প্রতিযোগী। তাঁদের জন্য আয়োজকেরা রেখেছিলেন একাধিক আকর্ষণীয় খেলা। প্রথমেই ছিল ফুচকা খাওয়ার প্রতিযোগিতা। অল্প সময়ের মধ্যে কে কত দ্রুত ফুচকা শেষ করতে পারেন, তা নিয়েই শুরু হয় মজার লড়াই। প্রতিযোগীদের তৎপরতা আর নানা রকম অভিব্যক্তি দেখে দর্শকদের মধ্যে হাসির রোল পড়ে যায়। এরপর শুরু হয় বালতিতে বল ছোড়ার খেলা। দেখতে সহজ হলেও নির্দিষ্ট দূরত্ব থেকে বল লক্ষ্যভেদ করা মোটেও সহজ কাজ নয়। একের পর এক বল বালতির বাইরে পড়তেই দর্শকদের উচ্ছ্বাস আর চিৎকারে মঞ্চ আরও সরগরম হয়ে ওঠে। সফল শট পড়লেই করতালিতে ফেটে পড়েন উপস্থিত দর্শকরা।
advertisement
খেলার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ও বুদ্ধিদীপ্ত পর্ব ছিল ইশারা দেখে গানের লাইন বা সিনেমার নাম বলা। এই খেলায় প্রতিযোগীদের স্মৃতিশক্তি ও উপস্থিত বুদ্ধির পরীক্ষা নেওয়া হয়। ইশারার অর্থ বুঝে সঠিক উত্তর দিতে গিয়ে কখনও কেউ হোঁচট খেয়েছেন, কখনও আবার ঝরঝরে উত্তরে কুড়িয়েছেন বাহবা। আয়োজকদের দাবি, এমন ধরনের মঞ্চভিত্তিক খেলাধুলা খাদ্য মেলার আনন্দকে কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেয়। শুধুমাত্র খাবারের স্বাদ নয়, বিনোদনের স্বাদ পেতেই ভিড় জমিয়েছিলেন বহু মানুষ। বিশেষ করে পরিবার-পরিজন নিয়ে আসা দর্শকদের কাছে এই খেলাগুলি বাড়তি আকর্ষণ হয়ে ওঠে।
সব মিলিয়ে খাতড়ার খাদ্য মেলায় আমি দিদি নাম্বার ওয়ান খেলা ছিল দর্শকদের কাছে এক সম্পূর্ণ প্যাকেজ—হাসি, উত্তেজনা আর আনন্দের। উপচে পড়া ভিড় আর দর্শকদের উল্লাসেই স্পষ্ট, এই মঞ্চই হয়ে উঠেছিল মেলার অন্যতম প্রাণকেন্দ্র।