বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ কৌস্তভ নায়েক বলেন, '' এক ছাত্রের অভিভাবক আমাদের কাছে এ'ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। সেখান থেকেই জানা গিয়েছে, মেঘালয় সরকারের কোটায় এমবিবিএস-এ ভর্তি করে দেওয়ার নাম করে ৩০ লক্ষ টাকা নেওয়া হয়েছে।'' বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, মেঘালয় সরকারের কোটায় মেডিক্যাল কলেজে দু'জন ভর্তি হতে পারে। মেঘালয় সরকার সরাসরি রাজ্য সরকারকে এ'ব্যাপারে নাম পাঠায়। সেই নাম রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর থেকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সেই কোটায় ভর্তির কথা বলেই প্রতারকরা কাজ হাসিল করেছে বলে জানা গিয়েছে।
advertisement
বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ জানান, ''মেঘালয় সরকারের কোটায় ভর্তি নেওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের কোনও হাত নেই অথচ প্রিন্সিপালের স্ট্যাম্প সই জাল করে এই প্রতারণা করা হয়েছে। প্রতারকরা একটি ঘরে বসিয়ে অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের বিশ্বাস অর্জন করে। এরপর মোটা টাকা নিয়ে চম্পট দিয়েছে। আমরা চাই পুলিশ যথাযথ তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করুক।
বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের একটি ঘরে বসিয়ে প্রতারকরা পড়ুয়া ও তাঁদের অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলেছিল বলে জানা গিয়েছে। তবে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের কোন ঘর তা পুলিশকে তাঁরা সেভাবে চিনিয়ে দিতে পারেনি। এ'ব্যাপারে অধ্যক্ষ বলেন, সম্ভবত অন্য কোনও ঘরে এই কাজ করেছে প্রতারকেরা, পুলিশ বিস্তারিত তদন্ত চালাচ্ছে।