প্রকাশ চন্দ্র মন্ডল, পেশায় ইএসআই ও পিএফ সংক্রান্ত বিষয়ের পরামর্শদাতা এদিন অভিযোগ করেন, তাঁর কাছে চেক বই ও তার পাতা রয়েছে তবুও তাঁর আ্যকাউন্ট থেকে ৬ লাখ ২০ হাজার টাকা হাপিস হয়ে গিয়েছে। মসিদূল বিশ্বাসের দাদা রশিদ বিশ্বাস গত ১০ মে মারা গিয়েছেন। দাদার ব্যাঙ্কের পাস বই আপডেট করে দেখেন, গত ২৬ মে তাঁর দাদার আ্যকাউন্ট থেকে ৮ লাখ ৪০ হাজার টাকা হাপিস হয়ে গিয়েছে। অথচ তাদের কাছে দাদার চেক বই ও তার পাতাও রয়েছে। আর সেই চেক বই ও পাতার নম্বর দিয়ে টাকা হাপিস হয়েছে। শুধু তারাই নয় আরো বেশ কয়েক জন গ্রাহক এই করোনা কালে টাকা খুইয়েছেন এই ব্রাঞ্চে।
advertisement
এই ব্যাঙ্কের গ্রাহক দীপঙ্কর অধিকারীর অভিযোগ, চেকবুক তাঁর কাছে রয়েছে। সেই নম্বরের চেক বুক থেকে টাকা তোলা হয়েছে। সেই চেক তাঁর কাছে থাকা সত্ত্বে কী করে এত টাকা তুলে নিতে দেওয়া হল! প্রশ্ন তাঁর।দীপঙ্কর অধিকারীর অভিযোগ, তাঁর সাত লাখ টাকা চেকের মাধ্যমে তুল নেওয়া হয়েছে। এত টাকার চেক ক্লিয়ার করার আগে কেন ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ গ্রাহকের সঙ্গে যোগাযোগ করে দেখল না। তা হলে কি এই চেক জালিয়াতির সঙ্গে প্রতিষ্ঠানের কেউ জড়িয়ে আছে! দীপঙ্কর অধিকারীর দাবী, তিনি গরিব মানুষ। কোনওরকমে সঞ্চয় করেছিলেন ভবিষ্যতের কথা ভেবে। এবার কী করবেন ভেবে পাচ্ছেন না তিনি। অশোকনগর থানায় পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেন প্রতারিতরা। তাঁদের দাবী, পুলিশ জানিয়েছে ব্যাংকের তরফেও তাদের কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে।তাই তাদের আর অভিযোগ করতে হবে না। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, ব্যাংকের চেকবুক গ্রাহকের কাছে রয়েছে, সেই চেক থেকে টাকা তুলেছেন অন্য কেউ। ব্যাংকের ভূমিকা নিয়ে উঠছে একাধিক প্রশ্ন। প্রায় ৩০ দিন হল প্রতারিত হয়েছেন গ্রাহকরা। তারা তাদের টাকা ফেরতের দাবীতে আজ হাবরা-নৈহাটি রোড অবরোধ করেন। তাঁদের দাবী ব্যাঙ্কের ব্রাঞ্চ ম্যানেজার আশ্বস্ত করেছেন তাঁদের। চেক জালিয়াতি করে তাদের টাকা কেউ চেন্নাইতে বসে তুলেছে। তদন্তের পরই তাদের টাকা ফিরিয়ে দেওয়া হবে। তবে কবে তারা ফেরত পাবে সে আশায় তাকিয়ে প্রতারিত গ্রাহকরা।
