পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, পাসপোর্ট পাওয়ার জন্য কয়েক মাস আগে আবেদন করেন বর্ধমান থানা এলাকার বাসিন্দা রিঙ্কা দাস। পাসপোর্টের আবেদনে তিনি বার্থ সার্টিফিকেট জমা দেন। সেটি বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দেওয়া বলে আবেদনে উল্লেখ করা হয়। আবেদনটি ভেরিফিকেশনের জন্য বর্ধমান জেলা গোয়েন্দা দফতরে পাঠানো হয়। গোয়েন্দা দফতর থেকে রিঙ্কাকে অফিসে ডেকে পাঠানো হয়। তিনি অরিজিনাল নথিপত্র নিয়ে গোয়েন্দা দফতরে দেখা করেন। তাঁর জন্ম শংসাপত্রটি সঠিক কি না তা জানতে গোয়েন্দা দফতরের তরফে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চাওয়া হয়। সেটি জাল বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয়। এরপরই গোয়েন্দা দপ্তরের তরফে বর্ধমান থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়।
advertisement
আরও পড়ুনViral Video: নদীতে জাল ফেলতেই মাছ নয়, উঠে এলেন তিনি! বাঁকুড়ায় বিরাট শোরগোল! দেখতে মানুষের ঢল
সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ১৯ ডিসেম্বর রিঙ্কাকে গ্রেফতার করে বর্ধমান থানার পুলিশ। রিঙ্কাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে, জাল সার্টিফিকেটটি টাকার বিনিময়ে স্বরূপ রায় নামে একজন জোগার করে দিয়েছে।
তদন্তে নেমে পুলিশ স্বরূপ রায় ওরফে রামুকে গ্রেফতার করে। বর্ধমান শহরের বড়নীলপুর এলাকায় তার বাড়ি। তাকে জেরা করে পুলিশ সিঙ্গুরের দুজনের হদিশ পায়। এরপরই বর্ধমান থানার পুলিশ সিঙ্গুর থেকে প্রথমে গনেশ চক্রবর্তী ও গনেশকে জিজ্ঞাসাবাদ করে অর্নিবান সামন্তকে গ্রেফতার করে। গণেশের বাড়ি সিঙ্গুরে এবং অনির্বাণের বাড়ি সিঙ্গুরের গণ্ডারপুকুর মাঘপাড়া এলাকায়। ধৃতদের পুলিশী হেফাজত চেয়ে শনিবার বর্ধমান আদালতে পেশ করেছে পুলিশ। শনিবার বর্ধমান আদালতে তোলা হলে আদালত তাদের পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজত মঞ্জুর করে। এই ঘটনায় আর কারা কারা জড়িত তা জানার চেষ্টা চলছে।