আজ , মঙ্গলবার বীরভূমে 'অঞ্চলে একদিন ' কর্মসূচিতে, তৃণমূল কংগ্রেসের সিউড়ির বিধায়ক বিকাশ রায় চৌধুর , ডেপুটি স্পিকার এবং রামপুরহাটের বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় যথাক্রমে ভবানীপুর এবং ভারকাটা গ্রাম পঞ্চায়েতে তাঁদের সারা দিন কাটান। ভবানীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে মানুষের সঙ্গে দেখা করার সময় সিউড়ির বিধায়ক বিকাশ রায় চৌধুরীর সাক্ষাৎ হয় দ্বিজপদ সাহা নামে এক বৃদ্ধের সঙ্গে। প্রবীণ ওই ব্য়ক্তি নিজেই জানান, তিনি প্রাক্তন কংগ্রেস বিধায়ক। বর্তমানে দ্বিজপদবাবুর বয়স ৯০ ছাড়িয়ে। কানে শুনতে সমস্য়া হয়। প্রাক্তন বিধায়কের সমস্য়ার কথা মন দিয়ে শুনলেন বর্তমান বিধায়ক।
advertisement
বিধায়ক বিকাশ রায় চৌধুরীকে দ্বিজপদবাবু জানান, যে তিনি এই বয়সে প্রচুর সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন । কারণ তাঁকে জীবন শংসাপত্র জমা দিতে এবং মাসিক পেনশন পেতে দু'টি ভিন্ন অফিসে যেতে হয় । তিনি স্থানীয় স্কুলে শিক্ষকতা করা ছাড়াও ১৯৭২ থেকে ১৯৭৭ সালের মধ্যে রাজনগরের কংগ্রেস বিধায়ক ছিলে । তাঁর সমস্ত সমস্যা শোনার পর , বিধায়ক বিকাশ রায় চৌধুরী ব্লক-স্তরের নেতাদের একজনকে অবিলম্বে একটি চিঠি লিখে তাতে দ্বিজপদ্ম সাহার স্বাক্ষর নেওয়ার নির্দেশ দেন। প্রাক্তন বিধায়ককে আশ্বস্ত করার সময় , বিধায়ক বিকাশ রায় চৌধুরী তাঁর কানের কাছে গিয়ে বলেন , 'স্যার , আমি ওদের চিঠিটি প্রস্তুত করতে বলেছি। আপনাকে শুধু একটি স্বাক্ষর করতে হবে। আমি ব্যক্তিগতভাবে তা স্পিকারের কাছে পৌঁছে দেবো। এখন থেকে, যেখানে যা দরকার হবে সবাই ব্যক্তিগতভাবে আপনার বাড়িতে যাবে এবং সমস্ত নিয়ম সম্পন্ন করবে । আপনাকে কোথাও যেতে হবে না। '
দ্বিজপদ সাহা পরে সিউড়ি বিধায়ক বিকাশ রায় চৌধুরীকে তাঁর ব্যস্ত সময়সূচি থেকে সময় বের করে , সমস্যাগুলির সমাধান করার জন্য তাঁকে ধন্যবাদ জানান । সিউড়ির বিধায়ক বিকাশ রায় চৌধুরী বলেন , " এক সময় আমরাও কংগ্রেস করেছি । তখন আমরা ছাত্র যুবতে ছিলাম,এনাদের থেকে অনেক কিছু শিখেছি। তবে ৯৩ বছর বয়সে যে আমি ওনার দেখা পেয়েছি এটাই আমার খুব ভালো লাগছে । তবে ওনার একটা সমস্যা ছিলো সে কথা তিনি আমায় জানান। আমি চেষ্টা করছি যাতে সেই সমস্যার সমাধান করা যায় । উনি আমাদের অনেক আশীর্বাদ করলেন।'
প্রাক্তন কংগ্রেস বিধায়ক দ্বিজপদ সাহা বলেন , " উনি আমার সমস্ত সমস্যা শোনেন এবং আমায় বলেন এগুলি লিখে ওনাকে পাঠাতে। তারপর ওনার যা ব্যবস্থা নেওয়ার উনি নেবেন । "