শতবর্ষপ্রাচীন এই স্কুলের ছাত্র সংখ্যা সহস্রাধিক। আচমকা মিড ডে মিল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় উপস্থিতির সংখ্যা ক্রমশঃ কমছে। শুক্রবার স্কুলে গিয়ে মিড ডে মিলের রান্না ঘরের যে দৃশ্য দেখা গেল তা রীতিমতো আঁতকে ওঠার মতো। রান্নাঘরের ভেতরেই রয়েছে খোলা চওড়া নর্দমা। নোংরা জল জমা হয়ে আছে তাতে। ঠিক এর পাশেই ইঁটের উনুনে চলে শিক্ষার্থীদের জন্য রান্নার কাজ। খাবারের মান নিয়েও প্রশ্ন তুললেন পড়ুয়ারা। তাদের দাবী সপ্তাহে একদিন অর্ধেক ডিম সঙ্গে ভাতের দেওয়া হয়। অন্য দিনগুলোতে জোটে সোয়াবিন বড়ির ঝোল আর ডাল - ভাত।
advertisement
বন্ধ হয়ে যাবার পর কেউ ঘর থেকে টিফিন আনছে তো কেউ আবার স্কুলের বাইরে যা পারছে খাচ্ছে। ছাত্রদের এই অবস্থা দেখে মর্মাহত শিক্ষকরা। তাদের দাবী প্রধানশিক্ষক আসছেন না। মিড ডে মিল চালু করার ব্যাপারে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিক সরকার। গোটা ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানশিক্ষক উত্তম রায়কে বেশ কয়েকবার ফোন করা হলে প্রথমে তিনি ফোন ধরেননি। অন্যদিকে শিক্ষা দপ্তরের অতিরিক্ত জেলাশাসক প্রশান্ত মন্ডল জানান স্কুলের জেলা পরিদর্শককে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।