স্থানীয়রা জানিয়েছেন, আচমকা বাড়ি থেকে চিৎকারের শব্দ শুনে তাঁরা দৌড়ে যান। ঘরে ঢুকতেই দেখেন রক্তে ভেজা অবস্থায় মেঝেতে পড়ে রয়েছে প্রত্যুষা। দ্রুত তাকে সোনারপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।
advertisement
প্রত্যুষার মা কলকাতার এক নামী বৈদ্যুতিক বিপণিতে কর্মরত এবং বাবা একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্টাফ। প্রতিদিনের মতো রবিবারও তাঁরা কাজে বেরিয়ে গিয়েছিলেন। বাড়িতে ছিলেন দাদু, দিদা এবং শিশুটির দেখভালের দায়িত্বে থাকা এক মহিলা। কিন্তু তাঁদের সামনেই এমন ঘটনা ঘটল কীভাবে, তা নিয়েই তৈরি হয়েছে রহস্য। মৃতদেহে একাধিক ক্ষতচিহ্ন পাওয়ায় খুনের আশঙ্কা উড়িয়ে দিচ্ছে না পুলিশ।
দাদু-দিদা ও পরিচারিকাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। সোমবার ময়নাতদন্তের পরই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ স্পষ্ট হবে বলে মনে করছে তদন্তকারী সংস্থা। ইতিমধ্যেই বাড়িটি সিল করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। নিরীহ এক শিশুর এমন করুণ পরিণতিতে শোকস্তব্ধ এলাকা।
অর্পণ মণ্ডল