পূর্ব বর্ধমানের মেমারি থানার কৃষ্ণবাটি গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে। কৃষ্ণবাটি গ্রামের ২৭৮ নং বুথের তৃনমূল কংগ্রেসের বুথ সভাপতি শরিফ মিঞার বাড়ির কাছ থেকে উদ্ধার হয় এই বোমাগুলি। বোমাভর্তি বস্তা ঘিরে রেখেছিল পুলিশ বাহিনী।
আরও পড়ুন- তোলা না দেওয়ায় জাতীয় সড়কে ট্রাক চালককে মারধরের অভিযোগ, চাঞ্চল্য পূর্ব বর্ধমানে
সিআইডির বোম ডিসপোজাল স্কোয়াডে বোমাগুলি নিষ্ক্রিয় করার জন্য খবর দেওয়া হয়। পরে সিআইডির বোম ডিসপোজাল স্কোয়ার্ড এসে সাবধানতার সঙ্গে বোমাগুলি নিষ্ক্রিয় করে। এতগুলি বোমা কোথা থেকে এলো, কে বা কারা কী উদ্দেশ্যে বোমাগুলি রেখেছিল, তা খতিয়ে দেখছে পুুুলিশ। তবে এই ব্যাপারে এখনও কাউকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ।
advertisement
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল রাতে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মেমারির কৃষ্ণবাটি গ্রামে অভিযান চালিয়ে একটি বাঁশ বাগানে থলের ভিতরে রাখা বোমা দেখতে পায় পুলিশ। ঘিরে রাখা হয় জায়গাটিকে। খবর দেওয়া হয় সিআইডির বোম ডিসপোজাল স্কোয়াডকে। আজ বিকেলে বোম ডিসপোজাল স্কোয়াড বোমাগুলি উদ্ধার করে নিষ্ক্রিয় করা হয়।
পূর্ব বর্ধমানের পুলিশ সুপার কামনাশিস সেন জানিয়েছেন, ৫ টি বোমা উদ্ধার হয়েছে। কে বা কারা কি উদ্দেশ্য বোমাগুলি রেখেছে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন- হলদিয়ায় আইওসি কারখানায় বিধ্বংসী আগুন! মৃত ৩, আহত অন্তত ৪২
বুথ সভাপতির বাড়ির সামনে থেকে বোমা উদ্ধার ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।
তৃনমূলের জেলা মুখপাত্র প্রসেনজিত দাসের অভিযোগ, বিজেপি চক্রান্ত করে এই ঘটনা ঘটিয়েছে।তৃনমূলকে ফাঁসানোর জন্য এটা করা হয়েছে। পাল্টা বিজেপি কাটোয়া কালনা সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি অনিল দত্তের দাবি,তৃণমূল বোমা রেখেছে বিজেপি কর্মীদের মারার জন্য এবং সন্ত্রাস সৃষ্টি করার জন্য।ধরা পরে গিয়ে বিজেপির নামে দোষ চাপাচ্ছে তৃণমূল।