প্রতিবছর মাছ ধরার মরশুম শুরু হলে ইলিশের আশায় বুক বাঁধে মৎস্যজীবী থেকে মৎস্য ব্যবসায়ী-সহ ট্রলার লঞ্চ মালিকেরা। কিন্তু পরপর কয়েক বছর দিঘায় ইলিশের খরা। তবে এই মরশুমে ইলিশের খরা কাটবে, আশাবাদী মৎস্যজীবী থেকে ট্রলার মালিকগণ। এবার দিঘায় ব্যান পিরিয়ড কাটিয়ে প্রথম দিনে ইলিশ উঠে আসার পূর্বাভাস আগেই দেখা দিয়েছে। কিন্তু দিঘায় বৃষ্টি নেই ফলে ইলিশের প্রতিকূল পরিবেশ। সমুদ্রে মাছ শিকারে থাকা মৎস্যজীবীদের জালে জড়িয়েছিল সীমিত সংখ্যক ইলিশ, তবে প্রচুর পরিমাণে পমফ্রেট, চিংড়ি, ভোলা ইত্যাদি। যা এদিন নিয়ে আসা হয় দিঘা মোহনার মৎস্য নিলাম কেন্দ্রে। ইলিশ ছাড়া অন্যান্য সামুদ্রিক মাছের নিলামে সরগরম হয় মোহনা মৎস্য নিলাম কেন্দ্র।
advertisement
দিঘা মোহনা মৎস নিলাম কেন্দ্রে সামান্য পরিমাণ ইলিশ -সহ প্রচুর পরিমাণ চিংড়ি, ভোলা, পমফ্রেট ইত্যাদি মাছে ভরে ওঠে। মৎস্য নিলাম কেন্দ্রে পমফ্রেট মাছ প্রতি কেজি ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা দামে বিক্রি হয়। ভোলা মাছের দাম প্রতি কেজি ১৫০ টাকা থেকে শুরু করে ৩০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়। তবে সামান্য পরিমাণ ইলিশ হলেও তাদের দাম অত্যন্ত চড়া। তাই ইলিশের নাগাল পেতে কিছুদিনের অপেক্ষা। ইলিশের ঝাঁক জালে ওঠে বৃষ্টি আর পুবালি হাওয়ার যুগলবন্দিতে। সেই আবহাওয়া এখনও তৈরি হয়নি দিঘায়। তবে দিঘার মৎস্যজীবীরা আশাবাদী দিঘায় চলতি বছর ভাল পরিমাণ ইলিশ উঠে আসবে। মরশুমের শুরুতেই ইলিশের দেখা না মিললেও আগামী দিনে ইলিশের হাঁক ডাকে জমে উঠবে মোহনা মৎস নিলাম কেন্দ্র এমনটাই মনে করছেন মৎস্যজীবীরা।
বিগত কয়েক বছর দিঘায় মৎস্যজীবীদের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে। কারণ ইলিশ-সহ অন্যান্য সামুদ্রিক মাঝে ভাটা পড়েছিল। তবে এই চলতি মরশুমে শুরুর দিকে সামান্য পরিমাণ হলেও ইলিশের দেখা মিলেছে এবং প্রচুর পরিমাণ অন্যান্য সামুদ্রিক মাছ উঠেছে মৎস্যজীবীদের জালে। মৎস্যজীবীরা আশাবাদী দ্রুত আবহাওয়া অনুকূল হলেই ইলিশ উঠবে জালে।
সৈকত শী