আগুন গিলে খেল মাথা গোঁজার আশ্রয়টুকুও। চোখের জল ফেলা ছাড়া আর কিছুই করতে পারলেন না অসহায় পরিবারগুলি। তবে এখন এই ক্ষতিপূরণ কে মেটাবে! কীভাবে চলবে এরপর ভেবে উঠতে পারছেন না ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার মানুষজন। বারাসতের বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মুহূর্তেই যেন বদলে দিয়েছে জীবন। এখনও পুরোপুরি নেভেনি আগুনের লেলিহান শিখা। চোখের সামনেই সবকিছু শেষ হতে দেখেছেন সর্বহারা ক্ষতিগ্রস্ত মানুষজন।
advertisement
আরও পড়ুন: র্যাঙ্কিংয়ে ভারতের সেরার সেরা মেডিক্যাল কলেজ কোনগুলো? তালিকায় বাংলার কোন কলেজ? রইল পুরো তালিকা
স্থানীয় মানুষজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কিছু বুঝে ওঠার আগেই দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে গোডাউন ও কারখানায় লাগা আগুন। আগুনের তীব্রতা তখন এতটাই ছিল যে এলাকা, বাড়ি ছেড়ে পালালেন বহু পরিবারের মানুষজন। প্রাণ বাঁচাতেই সর্বস্ব ফেলে রেখে বেরিয়ে আসেন তাঁরা বলেই জানান। অভিযোগ অতীতের ইটভাটার জলাজমি বুজিয়ে একপ্রকার অবৈধভাবেই মাটি ফেলে তৈরি করা হয়েছিল এই কারখানা ও গোডাউনের এলাকা। যা সুউচ্চ পাঁচিল দিয়েও ঘেরা হয়েছিল। রংয়ের কারখানা-সহ প্যাম্পার্স-এর কারখানাও ছিল এইখানে। ফলে দাহ্য পদার্থ ব্যাপক পরিমাণে মজুদ ছিল গোডাউন ও কারখানায় বলেই জানাচ্ছেন তাঁরা। ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা হওয়ায় দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে সেই বিধ্বংসী আগুন।
আরও পড়ুন: এই গাছের ফাঁকে বসে রয়েছে ছোট্ট একটি পাখি, খুঁজে পেলে আপনি সত্যিই জিনিয়াস! ১২ সেকেন্ডের চ্যালেঞ্জ
আগুনে পুড়ে গিয়েছে সঞ্চয়ের সবকিছুই, এখন তাই চোখের জল ছাড়া আর কিছুই অবশিষ্ট নেই বহু পরিবারের। তবে এখন আগুন কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে তবে পুরোপুরি আগুন নেভাতে এখনওবেশ কিছুটা সময় লাগবে বলেই জানা গিয়েছে দমকলের তরফে। পুলিশ প্রশাসনের তরফ থেকে স্থানীয় এলাকাবাসীদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে অন্যত্র নিরাপদ স্থানে। ঘটনাস্থলের কাছাকাছি যেতে দেওয়া হচ্ছে না এলাকার মানুষদের। দমকল যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে এখন আগুন নেভানোর কাজ চালাচ্ছে। দূর থেকে নিজেদের সবকিছু শেষ হয়ে যাওয়া চোখের সামনেই যেন দাঁড়িয়ে দেখছেন বহু পরিবার। সঙ্গী শুধুই চোখের জল।
Rudra Narayan Roy