আরও পড়ুন- ৫টাকার কয়েন উঠে যাওয়ার পিছনেও বাংলাদেশ! কেন এই সিদ্ধান্ত নিল RBI? জানুন আসল কারণ
এই নিয়মরক্ষাকে পুরুলিয়াবাসীরা বলেন, ‘আঘন সাঁকরাইত’।গোটা অগ্রহায়ণ বা আঘন মাস জুড়ে প্রতি বৃহস্পতিবার ঢেঁকি ভাঙা চালের গুঁড়ো থেকে তৈরিবিভিন্ন পিঠে তৈরি করেন তারা। আর এই পিঠে খাওয়ার দিন শুরু হয় অঘ্রাণ সংক্রান্তি থেকেই। আইস্কা পিঠেউতরালিতে সরা দিয়ে ঢেকে রেখে বাষ্পে সেদ্ধ করতে হয়। মোটা হওয়ার জন্য অনেকে একে গোদা পিঠেও বলে। পিঠাের মধ্যে থেকে বাষ্প বের হওয়ার কারণে এই পিঠার উপর ছোট ছোট ছিদ্র থাকে।
advertisement
আরও পড়ুন- চারদিকে ‘হিসহিস’…পা ফেললেই ছোবল! মানুষ পালাচ্ছে, সাপেদেরই হয়ে যাবে বাংলার এই গ্রাম?
ঢেঁকি ভাঙা চাল থেকে এই পিঠে তৈরি হয়। অনেকে আবার এই দিন মাংস দিয়েও পিঠে রান্না করেন। উৎসবের চেহারা নেয় প্রতিটি চাষি পরিবার গুলি। জঙ্গলমহল পুরুলিয়া বিভিন্ন গ্রামে পিঠে খাওয়ার রীতি রয়েছে। পুরুলিয়ার আড়শা ব্লকের চিতিডি গ্রামেও এই রীতির বিরাট চল রয়েছে।এ বিষয়ে গ্রামের এক কৃষক রঘুনাথ মাহাতো বলেন, সারা বছর চাষের পর এই দিনেই মাঠের ফসল সম্পূর্ণভাবে ঘরে তোলা হয়। সেই আনন্দেই প্রতিটি বাড়িতেই এইদিন পিঠে পরব চলে। খুবই আনন্দের এই দিনটি। আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে একত্রিত হয়ে এই দিনটি আমরা পালন করি।
পুরুলিয়া লোকসংস্কৃতির অন্যতম অংশ এই অঘ্রাণ সংক্রান্তি। পৌষ সংক্রান্তির পূর্বেই অঘ্রাণ সংক্রান্তি থেকে জঙ্গলমহলের কৃষক পরিবার গুলিতে পিঠে-পুলি তৈরি শুরু হয়ে যায়। আনন্দ উৎসবে মেতে ওঠে সকলে।
শর্মিষ্ঠা ব্যানার্জি