কালনা থেকে প্রতিদিনই শয়ে শয়ে বাসিন্দা ভাগীরথীর অন্য পারে শান্তিপুর যান।খেয়া পারাপারই তাদের যাতায়াতের একমাত্র ভরসা। খেয়াঘাটের কর্মীরা জানালেন, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে দশটা পর্যন্ত খেয়া-পারাপার বন্ধ ছিল। দৃশ্যমানতা একেবারেই ছিল না।এক হাত দূরের কোনও কিছুই দেখা যাচ্ছিল না। বিপদ এড়াতে কুয়াশা না কাটা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছিল। শুক্রবার অবশ্য গত তিন দিনের মতো কুয়াশার তেমন দাপট ছিল না। ফলে সকাল থেকেই ধীরগতিতে খেয়া পারাপার চলেছে।
advertisement
কাটোয়াতে সকাল ছটা থেকে ভাগীরথীতে খেয়া পারাপার শুরু হয়। কিন্তু গত কয়েকদিন ধরেই কুয়াশার কারণে তাতে বিঘ্ন ঘটেছে। দৃশ্যমানতা না ফেরা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে। জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনা এড়াতে কুয়াশা থাকাকালীন ফেরি বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ঘন কুয়াশায় যাতে লঞ্চ বা ভেসেল চালানো না হয় তা নিশ্চিত করতে ঘাটগুলোতে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। সেখানে পুলিশ কর্মী, সিভিক ভলেন্টিয়ার মোতায়েন করা হয়েছে।সেইসঙ্গে কুয়াশা থাকাকালীন নদীতে খেয়া-পারাপার বন্ধ রাখতে প্রচার চালানো হচ্ছে।
যাত্রীরা বলছেন, অনেকেই সময়ে ঘাটে জমায়াত হচ্ছেন।কিন্তু ফেরি চলাচল বন্ধ থাকার কারণে অপেক্ষা করতে হচ্ছে তাদের।ফেরিঘাটগুলিতে ব্যাপক ভিড় হচ্ছে। করোনার সংক্রমণ এড়াতে অনেকে আবার লাইফ জ্যাকেট ব্যবহার করতে চাইছেন না। তারা বলছেন, অন্যের ব্যবহৃত লাইফ জ্যাকেট ব্যবহার করলে সংক্রমণের আশংকা থেকে যাচ্ছে। তাই খেয়া পারাপারে ঝুঁকি থাকলেও অনেকেই সেইসব লাইফ জ্যাকেট ব্যবহার করছেন না। কুয়াশার জন্য যাতায়াতের সমস্যা হচ্ছে সড়কপথেও। সেইসঙ্গে দুর্ঘটনার আশঙ্কাও থেকে যাচ্ছে। গতকালই কুয়াশার কারণে দৃশ্যমানতা কমে যাওয়ায় ভাতার ও মন্তেশ্বরে দুর্ঘটনা ঘটে।
Saradindu Ghosh