TRENDING:

Female Dom Tumpa Das: চুল্লিতে ঢোকানো থেকে হাড়গোড় বের করা, ৩৫০০ টাকা মাইনেতে পেট চালানোই দায় মহিলা ডোম টুম্পার!

Last Updated:

Baruipur Female Dom Tumpa Das: টুম্পা বলেন, “আমি কল্যাণপুর পঞ্চায়েত থেকে মাসিক ৩,৫০০ টাকা বেতন পাই। আজকের দিনে ৩ জনের সংসার এই টাকায় চালানো যায় না।”

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#বারুইপুর: জুতো সেলাই থেকে চণ্ডীপাঠ। কাজের এই বিশাল বহরে না তো মেয়েদের ব্যাপক পরিমাণে চণ্ডীপাঠ করতে দেখা যায়, না তো জুতোসেলাই করতে। মাংস কাটার দোকানে হোক বা শ্মশানে কাজে সমান অংশগ্রহণ অলীক ভাবনা মাত্র। তবে ব্যাতিক্রম মাঝে মাঝে নিয়মের অস্তিত্ব স্বীকার করে। যেমন বারুইপুরের টুম্পা। মহিলা ডোম টুম্পার ভূমিকা বুঝিয়ে দিচ্ছে মরা পোড়ানো প্রধানত পুরুষদের দায় ও দায়িত্ব। পশ্চিমবঙ্গের বারুইপুরের পুরন্দরপুর শ্মশানে ডোমের দায়িত্বে রয়েছেন একজন মহিলা। মৃতদেহের নাম নথিভুক্ত করা থেকে শুরু করে চুল্লির কাজ সবটাই সামলান বারুইপুরের টুম্পা দাস। ১৪ ঘণ্টা একটানা ডিউটি ​​করে যান টুম্পা। তবে পেটের টানে কাজ করলেও, যে মাইনে পান তাতে সংসারের পেট চলে না।
ছোট বোন ও মায়ের সংসারে বড় মেয়ে টুম্পাই
ছোট বোন ও মায়ের সংসারে বড় মেয়ে টুম্পাই
advertisement

আরও পড়ুন- বিলকিস বানোর দোষীদের মুক্তির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা হোক, চলছে সই সংগ্রহ অভিযান

এই শ্মশানে ডোমের দায়িত্বে রয়েছেন পুরুষরাও। তবে মৃতদেহ নিয়ে যারা আসেন তাঁরা চান টুম্পাই তাঁদের জন্য কাজ করুন। শ্মশানের আচার-অনুষ্ঠানের বিষয়ে টুম্পার জ্ঞান ও কাজের ধরন বেশ প্রশংসিত। শ্মশানযাত্রীদের কেউ কেউ মাঝে মাঝে কিছু অতিরিক্ত টাকা দিয়ে যান। সেটুকুই অতিরিক্ত পাওনা মাত্র। বারুইপুরের কল্যাণপুর পঞ্চায়েতের পুরন্দরপুর জোড়া মন্দিরের কাছে টুম্পা দাসের বাড়ি। তাঁর বাবা বাপি দাস পুরন্দরপুর শ্মশানেই ডোমের দায়িত্বে ছিলেন।

advertisement

টুম্পার বাবা বেশ কয়েক বছর আগে প্রয়াত, পরিবারের ভরণপোষণের জন্য শ্মশানে বাবার কাজের দায়িত্ব পড়ে টুম্পার উপরেই। ছোট বোন ও মায়ের সংসারে বড় মেয়ে টুম্পাই। পুরন্দরপুর শ্মশানটিতে কাঠের চুল্লি এবং বৈদ্যুতিক চুল্লি দুই’ই রয়েছে। বারুইপুর পশ্চিমের বিধায়ক বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় ২০১৯ সালের মার্চ মাসে এই শ্মশানে বৈদ্যুতিক চুল্লির উদ্বোধন করেছিলেন৷ ২০১৫ সাল থেকে টুম্পা শ্মশানে কাঠের চিতার সমস্ত দায়িত্ব সামলেছেন৷ এক হাতে গ্লাভস আর অন্য হাতে কাঠ নিয়ে কাজে নেমে পড়েন টুম্পা। টুম্পার কথায়, “মৃতদেহ শ্মশানে এলে নাম নথিভুক্ত করার কাজ শুরু হয়। তারপর লাশ চুল্লিতে ঢোকানো থেকে শুরু করে মেশিন চালানো, হাড়গোড় বের করে আনা সবই আমাকে করতে হয়। সকাল ৬টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত একটানা ডিউটি। বিশ্রাম নেই।”

advertisement

আরও পড়ুন- ‘নেতাজির চিতাভস্ম ভারতের মাটিতে ফিরে আসুক’, আর্জি সুভাষকন্যা অনিতা বসু পাফের

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
শীতের মরশুম এলেই গৃহবধূদের উপরি রোজগার! সংসার সামলে ছুটছেন মোয়ার দোকানে
আরও দেখুন

শুধু বারুইপুরের কল্যাণপুর পঞ্চায়েত এলাকার মানুষই নয়, আশেপাশের পঞ্চায়েত এলাকার মানুষও এই শ্মশানে আসেন। এমনকি বিষ্ণুপুর থেকেও মানুষ সৎকারের জন্য এখানে দেহ নিয়ে আসেন। ফলে শ্মশানে ভিড় বাড়ে। টুম্পা বলেন, “শুরুতে ভয় পেয়েছিলাম। সারাদিন ধরে একের পর এক মৃতদেহ চুল্লিতে ঢোকানো দেখে। শ্মশানযাত্রীদের প্রতি ভালবাসা এবং কাজের তাগিদ আমার মনকে শক্ত করেছে। পরিবারের পেটে খাবারের ব্যবস্থা করাই এই কাজের প্রতি আমার টান।” টুম্পা বলেন, “আমি কল্যাণপুর পঞ্চায়েত থেকে মাসিক ৩,৫০০ টাকা বেতন পাই। আজকের দিনে ৩ জনের সংসার এই টাকায় চালানো যায় না।”

advertisement

Click here to add News18 as your preferred news source on Google.
কলকাতা এবং পশ্চিমবঙ্গের সব লেটেস্ট ব্রেকিং নিউজ পাবেন নিউজ 18 বাংলায় ৷ থাকছে দক্ষিণবঙ্গ এবং উত্তরবঙ্গের খবরও ৷ দেখুন ব্রেকিং নিউজ এবং সব গুরুত্বপূর্ণ খবর নিউজ 18 বাংলার লাইভ টিভিতে ৷ এর পাশাপাশি সব খবরের আপডেট পেতে ডাউনলোড করতে পারেন নিউজ 18 বাংলার অ্যাপ ৷ News18 Bangla-কে গুগলে ফলো করতে  ক্লিক করুন এখানে ৷ 
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Female Dom Tumpa Das: চুল্লিতে ঢোকানো থেকে হাড়গোড় বের করা, ৩৫০০ টাকা মাইনেতে পেট চালানোই দায় মহিলা ডোম টুম্পার!
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল