কথিত আছে, এখানে আগে দেব দেবীর প্রতিষ্ঠা ছিল। কালীর উপাসনা করা হতো এলাকায়। ডাকাতকালীর নাম শোনেনি এমন বাঙালী বিরল। বাংলার গ্রামে গঞ্জে ছড়িয়ে আছে যার অসংখ্য থান, মন্দির।জানা যায়, ডাকাতি করার আগে কালী মায়ের পুজো করে ডাকাতি করতে যেত এই এলাকা থেকেই। যাতে করে সুষ্ঠু ভাবে ডাকাতি সম্পন্ন হয়।
আরও পড়ুন: এক গ্রামে একসঙ্গে ১২ টি কালী পুজো এড়োয়ালী পরিচিত কালীক্ষেত্র নামে
advertisement
এই বাঁধাপুকর এলাকায় এক ব্রাহ্মণী ছিল, তাকে জ্যান্ত কবর দেওয়া হয়। তার আত্মার নাকি শান্তি হয়নি। তাকে মাঝে মাঝে দেখা যেত এই এলাকায়। পরে কয়েকজন সিদ্ধান্ত নেন দৈনিক ফুল ও ধুপ দেওয়ার। পরে হঠাৎই দেখা যায় একদিন সকালে মাটির ওপরে জল দেওয়ার সময় শিশুর চরণ ফুটে উঠেছে। যা দুধে আলতার রংয়ের ছাপ দেখা যায়। আর সেই চরণ ফুটে ওঠার কারণেই তারপর থেকেই চরণের ওপর পুজো হয়।যা আজ মন্দির স্হাপন করা হয়েছে।
বিষ্ণুপদ বারিক স্বপ্নাদেশ পেয়ে ১৩৭৫ সালে মন্দির নির্মাণ করেন। এখানে কোনও মুর্তি নেই। দেবীর চরণের ওপর পুজো করা হয়ে থাকে। তাই এটা চরণ কালী হিসেবে স্বীকৃত। কালীপুজোর দিনে বিশেষ পুজো পাঠ ও হোম যজ্ঞের আয়োজন করা হয়। পুজো দিতে ভিড় জমান বহু সাধারণ মানুষ। পাদস্পর্শে চরণেই পুজো দেন সকলেই। সকলের মনস্কামনা নিয়ে আসেন এবং মনস্কামনা পুরণ হয় বলেই কথিত আছে।বর্তমানে দৈনিক চলে নিত্য পুজো ।তবে কালীপুজোর দিনে বেলা বারোটার সময় ঘট স্হাপন করা হয়ে থাকে। এছাড়াও সারা মন্দির ফুলে সাজানো হয়। এমনকি ১০৮টি প্রদীপ প্রজ্বলন করা হয় কালীপুজোর দিনে।
কৌশিক অধিকারী