জানা যাচ্ছে, ঘটনাটি ঘটেছিল গত ২৭ জুলাই। কাজে যাচ্ছিলেন সাধনবাবু। সেই সময় পথ আটকান উর্দিধারীরা। কোথায় যাচ্ছেন জানতে চাওয়া হয়। অভিযোগ, বাংলায় কথা বলতেই শুরু হয় মারধর। সাধনবাবু বলেন, স্টিলের লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারে পুলিশ। সেই সঙ্গেই দ্রুত এলাকা ছাড়তে বলা হয়। কোনও মতে ছেলে-বৌমাকে নিয়ে পালিয়ে এসেছেন। বাড়ি ফিরলেও চোখে-মুখে আতঙ্কের ছাপ, সাধনবাবুর শরীরে রয়েছে কালশিটের দাগ।
advertisement
আরও পড়ুনঃ বড় বড় গর্ত, রাস্তা যেন ‘মরণফাঁদ’! সংস্কারের কাজে নেমে পড়লেন দুই সিভিক ভলেন্টিয়ার
সাধনবাবুর ছেলে সৌভিক বলেন, তাঁকেও তিনদিন ধরতে এসেছিল। স্ত্রীকে ঘরে তালাবন্দী করে রেখে পালিয়ে যায়। তিনদিন পালিয়ে বেড়ান বলে জানিয়েছেন তিনি। অভিযোগ, মোবাইলটাও কেড়ে নিয়ে ভেঙে দেয় সেখানকার পুলিশ। দু’দিন পর হরিয়ানায় সবকিছু ফেলে রেখে পালিয়ে আসেন। আর হরিয়ানায় কাজে যেতে চান না বলে জানিয়েছেন সৌভিক।
বৃহস্পতিবার বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল সভাপতি বিশ্বজিৎ দাসের কাছে আসেন ভিনরাজ্যে নিগৃহীত বাবা-ছেলে। সেখানে তাঁদের সঙ্গে কী কী হয়েছে, সবটা জানান। শাসকদলের নেতা বলেন, ভিনরাজ্যে বাঙালিদের হেনস্থা করছে সেখানকার পুলিশ। যে বাঙালি দেশের স্বাধীনতার জন্য রক্ত দিল, আজ তাঁদেরই হেনস্থা হতে হচ্ছে। আগামীদিনে প্রতিবাদ হবে।