বুধবার বিয়ে বাড়ির ছোট ছেলের। উত্তর চব্বিশ পরগনার বাদুড়িয়ায় দিয়ারা গ্রামের মন্ডল বাড়িতে চলছিল তারই তোড়জোর। বিয়ে অসিতবরণ মন্ডলের ছোট ছেলে কৃষ্ণেন্দুবিকাশ মন্ডলের। বাড়ি জুড়ে উৎসবের আমেজ। রঙবেরঙের তোরণে সেজেছিল মন্ডলবাড়ি। কিন্তু হঠাৎ করে সব ধূসর হয়ে গেল। মঙ্গলবার সকালে হঠাৎই হৃদরোগে আক্রান্ত হন পাত্রের বাবা। হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা।
advertisement
হঠাৎ এই মৃত্যুতে দিশেহারা হয়ে পড়ে পরিবার। এই অবস্থায় বিয়ে কিভাবে সম্ভব? সেকথা ভেবেই পাচ্ছিলেন না কেউই। কিন্তু প্রাথমিক শোকের ধাক্কা সামলে কঠিন সিদ্ধান্তটা নিয়ে ফেললেন পাত্রের মা অলিরাণি মন্ডল। হবু পুত্রবধূ যে তাঁরও মেয়েই। তাই তাঁকে বিপদে ফেলতে নারাজ তিনি। শাস্ত্রমতে শেষকৃত্য হলে শুরু হয় অশৌচ পালন। তাই স্বামীর শেষকৃত্য আটকে দিলেন অসিতবরণ মন্ডলের স্ত্রী। বাড়ির পাশের মন্দিরে বুধবারেই বিয়ে হল কৃষ্ণেন্দু-মণিকার। আর তখন বাড়ির মধ্যে এসি শববাহী গাড়িতে শুয়ে রইলেন অসিতবরণ ।
এরকম একটা সময়েও ভেঙে না পড়ে পাত্রের মায়ের সিদ্ধান্তকে কুর্ণিশ করছেন পাড়া-প্রতিবেশীরা। মায়ের সিদ্ধান্তে খুশি কৃষ্ণেন্দু-মণিকা । বিয়ে শেষে নিমতলা শ্মশানে শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় অসিতবরণ মন্ডলের। অলিরানির দৃঢ়তা দেখে বাদুড়িয়া বলছে এমন মা যেন ঘরে ঘরে এভাবেই শক্ত হাতে রাশ ধরেন।