আলু চাষের জন্য আদর্শ হল কনকনে ঠান্ডা ও রোদ ঝলমলে দিন। তাতে আলু গাছের বৃদ্ধি ভাল হয়। রোগপোকার আক্রমণ কম হয়। ফলনও ভাল হয়। কিন্তু এবার সেই কনকনে ঠান্ডা বিশেষ মেলেনি। গত বেশ কিছুদিন ধরেই দুপুরে ভাল তাপমাত্রা থাকছিল। তার উপর এখন একটানা কুয়াশা হচ্ছে। এতে ধসা রোগের প্রকোপ দেখা দিতে পারে। শীত দীর্ঘস্থায়ী না হলে আলু গাছ বাঁচিয়ে রাখা কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। তখন ফলনও কম হবে।
advertisement
আরও পড়ুন: মাথা লক্ষ্য করে পর পর গুলি, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু ছাত্রের নৃশংস পরিণতি! কেন খুন অর্ণব?
পূর্ব বর্ধমান জেলায় প্রায় ৭২ হাজার হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়। এর মধ্যে জামালপুর, মেমারি, শক্তিগড়, কালনা, পূর্বস্থলীতে চাষ হয় অনেক বেশি। দুর্যোগের কারণে এ বার চাষের জমি তৈরিতে দেরি হয়েছিল। তাতে চাষ পিছিয়ে গিয়েছিল। চাষ শুরুর পরে আবহাওয়া ভাল থাকলেও, চাষিদের দুশ্চিন্তার কারণ হয়েছে ঘন কুয়াশা। চাষিরা বলছেন, কোনও কোনও দিন বেলা ১০টা পর্যন্ত থাকছে। এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে নাবিধসা রোগ হবে। কীটনাশক প্রয়োগ করতে প্রচুর অর্থ খরচ হবে। ফলনও কমবে। এমনিতেই চড়া দামে আলু বীজ কিনে বসাতে হয়েছে। এর ওপর কীটনাশকের খরচ চাপলে লাভের মুখ দেখা যাবে না।
কৃষি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কুয়াশা বা বৃষ্টির ফলে বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতা বেশি হলে আকাশ মেঘাছন্ন থাকে। তখন তাপমাত্রাও বাড়ে। স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়া থাকলে আলুর জমিতে ধসা রোগ ছড়ায়। এই রোগে পাতায় গাঢ় বাদামি বা কালো রঙের দাগ দেখা দেয়। প্রথমে পাতার নীচের অংশে এই দাগ হয়। পরে তা গাছে ছড়ায়। তাই এ ব্যাপারে সাবধান থাকতে হবে। বার বার জমিতে গিয়ে নজর রাখতে হবে। প্রয়োজনে প্রতিষেধক প্রয়োগ করতে হবে।