এই পরিস্থিতিতে জেলার নদীগুলির জলস্তর বাড়ায় একাধিক কজওয়ে জলের তলায় চলে গিয়েছে। ফলে লক্ষ্মীপুজোর সকালে দুর্ভোগে পড়েন সাধারণ মানুষ থেকে কৃষিজীবী। তাঁদের উৎপাদিত সবজি বাজারে বিক্রি করতে পারলে মুখে হাসি ফোটে। এদিন ভাল দামের আশা করেছিলেন তাঁরা। কিন্ত কজওয়ের উপর জল থাকার কারণে বাজারে সময় মতো না পৌঁছতে পারায় সেগুলি কম দামে বিক্রি করতে হয়েছে বলে দাবি কৃষকদের।
advertisement
ঝাড়গ্রামের পাশাপাশি বাঁকুড়া ও পুরুলিয়ার বিক্ষিপ্ত অংশে ভারী বৃষ্টির ফলে জল বাড়তে শুরু করেছে ডুলুং, তারাফেনী ও ভৈরববাঁকী নদীর। গোটা দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে টানা দুর্যোগের পূর্বাভাস রয়েছে। ফলে ভারী বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত একাধিক জেলা। ঝাড়গ্রাম জেলাজুড়েও গতকাল থেকে প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টি হয়েছে। যার ফলে ঝাড়গ্রামের নদীগুলির জলস্তর বেড়েছে।
রবিবার গভীর রাত থেকেই তারাফেনী ও ভৈরববাঁকী নদীর জলস্তর বাড়ায় ঝাড়গ্রাম ও বাঁকুড়ার মধ্যে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। জেলা শহরের সঙ্গে জামবনী ব্লকের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। বৃষ্টির পরিমাণ বাড়লে জলস্তর আরও বাড়বে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। একপ্রকার প্রাণের ঝুঁকিতে মোটর সাইকেল পারাপার করছে। কংসাবতী কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ৮ তারিখ থেকে অতিরিক্ত জল নদীতে ছেড়ে কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এদিকে সকাল সকাল মা লক্ষ্মীর কৃপা লাভ না হওয়ায় হতাশ লালগড়, বিনপুর, জামবনীর কৃষকরা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলেও লালগড়ের নিশ্চিন্তপুরে ভৈরববাঁকি নদী ও বিনপুরের ঢোলভাঙ্গায় তারাফেনি নদীর কজওয়ের উপর প্রায় এক হাঁটু সমান জল রয়েছে। যার ফলে বাস চলাচল স্বাভাবিক হলেও সাধারণ মানুষকে ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে।