কথিত পদ্ম না পেয়ে নিজের চোখ দান করতে চেয়েছিলেন রামচন্দ্র। দুর্গা আরাধনায় এতটাই গুরুত্ব পদ্মের। শরতের ঝলমলে আকাশ। চারদিকে পুজো গন্ধ। দেবী বোধনের মাত্র কয়েকটা দিন বাকি। অষ্টমীর দিন ১০৮টি পদ্মফুল না হলে সম্পন্ন হবে না পুজো। পদ্মের যোগান ঠিক রাখতে এখন চরম ব্যস্ততা পূর্ব মেদিনীপুরের কেশবপুর, চৈতন্যপুর, বরোদা , মহিষাদল, তমলুক, বাজকুল , কাঁথির বিস্তীর্ণ অঞ্চলে।
advertisement
পদ্মচাষ শুরু হয় আষাঢ়ের শেষে। আশ্বিনের গোড়ায় ফুল তুলতে শুরু করেন চাষীরা। লক্ষ লক্ষ টাকায় পূর্ব মেদিনীপুরের বিভিন্ন এলাকায় এক বছরের জন্য পদ্মপুকুর লিজ নেন তাঁরা।
ভোররাতে সাপখোপ, বিষাক্ত কীটের কামড় উপে্ক্ষা করে ছোট্ট ডিঙা নিয়ে ভেসে পড়েন। পদ্ম তুলে পরিস্কার করে তা পাঠিয়ে দেন কলকাতায়। সেখান থেকে পদ্ম চলে যায় রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের হিমঘরে।
বর্ষা ভাল হওয়ায় এবার পদ্মের যোগানও ভাল। মা-ছেলে। দুজনের পুজোতেই পদ্ম মাস্ট। তবে শ্রাবণ মাসে গণেশ পুজোয় পদ্মের দাম দ্বিগুণ বেড়ে যায়। দুর্গাপুজোয় দাম কিছুটা কমলেও, চাহিদা বাড়ে বহুগুণ।
ফুলচাষীরা জানেন, ফুলবাজারে রীতিমত বনেদি এই পদ্ম। তাজা আর ঠান্ডাঘরে থাকা ফুলের চেহারায় পার্থক্য তো থাকবেই। বাহার হারাবে সন্ধিপুজোর সন্ধিক্ষণ। তবুও তাজা পদ্মের যোগান দিতে মরিয়া জেলার পদ্মচাষীরা।