খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছায় সাঁকরাইল থানার পুলিশ এবং মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। স্থানীয় সূত্রে খবর, অভাবের সংসার মাত্র ১৫ কাঠা জমি চাষ করে সংসার চালাতেন।
advertisement
জোটেনি আবাস যোজনার বাড়ি, মাটির কুঁড়ে ঘরে বসবাস করত। ছোটবেলায় বাবা মারা যাওয়ার ফলে সংসারের মূল চালিকা শক্তি ছিল ললিত। সংসারের অর্থ জোগাড় করতে তিনি ছাগল পালন করতেন।গত এক বছর আগে তার মা মারা যায়। বর্তমানে দুই ছেলে ও স্ত্রী, বড় ছেলে বেকার, ছোট ছেলে নবম শ্রেণীতে পড়ে।
ললিতের স্ত্রী সবিতা দেবী বলেন, ‘আমাদের সংসারে ও একমাত্র রোজকার করত, কাজ করলে খাবার জুটত, এখন কীভাবে সংসার চালাব ভাবতে পারছি না।’ ওই গ্রামের বাসিন্দা মথুর মাহাত বলেন “জমি জায়গা সেরকম নেই, লোকের বাড়িতে কাজ করে সংসার চালাত ললিত।’ অজ্ঞান অবস্থায় স্থানীয়রা তড়িঘড়ি তাকে উদ্ধার করে ভাঙাগড় গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
তন্ময় নন্দী






