#বর্ধমান: ফের সংস্কারের কাজে হাত পরল বর্ধমান স্টেশনের পোর্টিকোয়। খুলে ফেলা হল পোর্টিকোর ফলস সিলিং। এবার ফলস সিলিংয়ে জিপসাম বোর্ডের বদলে লাগানো হচ্ছে পিভিসি বোর্ড। বর্ধমান রেলস্টেশন বিল্ডিংয়ের পোর্টিকো-সহ একাংশ ভেঙে পড়েছিল বছরের শুরুতেই। তড়িঘড়ি আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা হয়েছিল সেই পোর্টিকো।এ মাসের গোড়ায় সেই পোর্টিকোর ফলস সিলিং ভেঙে পড়ে। তাতে আহত হন এক পরিযায়ী শ্রমিক। সেই ঘটনাকে নিছকই সামান্য ঘটনা বলে রেল দেখাতে চাইছে বলে অভিযোগ উঠেছিল। তারপর দশ দিন যেতে না যেতেই খুলে ফেলা হল সেই পোর্টিকোর ফলস সিলিং। পরিবর্তে সেখানে লাগানো হচ্ছে পিভিসি বোর্ড। ঠিক মতো পরিকল্পনা না করেই তড়িঘড়ি কাজ করার কারণেই বারবার রেলকে একই কাজে হাত দিতে হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরা বলছেন, এতে যাত্রী নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে। অপচয় হচ্ছে অর্থের।
advertisement
৪ জানুয়ারি রাতে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে বর্ধমান রেল স্টেশনের বিল্ডিংয়ের পোর্টিকো-সহ একাংশ। তাতে মৃত্যু হয় এক ব্যক্তির। গুরুতর আহত হন আরও একজন। রেল স্টেশন বিল্ডিং সংস্কারের কাজে গাফিলতির কারণেই সেই দুর্ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ উঠেছিল। রেল তদন্ত করে দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থাকে মোটা টাকার জরিমানা করে। এই প্রাচীন ঐতিহাসিক বিল্ডিং আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা হবে বলে আশ্বাস দেয় রেল। দু’মাসের মধ্যেই মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহে সংস্কারের পর বিল্ডিং-সহ স্টেশনের মূল প্রবেশদ্বার খুলে দেওয়া হয়। তারপর তিন মাস পার হতে না হতেই ভেঙে পড়ে পোর্টিকোর ফলস সিলিংয়ের কিছু অংশ। জল ঢুকে ভঙ্গুর হয়ে গিয়েছিল ফলস সিলিংয়ের বাকি অংশও। এর ফলে যে কোনও দিন আবারও ফলস সিলিং ভেঙে পড়ার আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে বলে জানিয়েছিলেন বিশেষজ্ঞরা। 8 জুনের সেই ঘটনার পর বৃহস্পতিবার খুলে ফেলা হল সেই ভঙ্গুর ফলস সিলিং। তার বদলে সেখানে এখন লাগানো হচ্ছে পিভিসি বোর্ড। এই বোর্ড অনেক টেকসই হবে বলেই মনে করছেন সেই কাজে যুক্ত কর্মীরা।
যদিও এ ব্যাপারে বর্ধমান রেল স্টেশনের আধিকারিকরা কোনও মন্তব্য করতে চাননি। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, আগাম পরিকল্পনা না করেই যাত্রী সুরক্ষার কথা না ভেবেই তড়িঘড়ি সংস্কারের কাজ হচ্ছে। তার ফলেই বারে বারে ভেঙ্গে পড়ছে বিভিন্ন অংশ। এতে একদিকে যেমন যাত্রী নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে ঠিক তেমনই প্রচুর অর্থের অপচয় হচ্ছে। রেলের ইঞ্জিনিয়ারদের নজরদারি ও দক্ষতা নিয়ে বারে বারে প্রশ্ন উঠছে।