এদিকে ছেলের এই কুকীর্তি শোনার পর ছেলের জন্য ফাঁসির সাজা চাইলেন শুভদীপ বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের (Subhadeep Banerjee) মা শুভ্রা বন্দ্যোপাধ্যায় (Subhra Banerjee)। ছেলের ফোন আসায় ফোনের এপ্রান্ত থেকেই ছেলের ফাঁসি কামনা করলেন শুভদীপের মা। সাংবাদিকদের সামনেই ছেলেকে ফোনে বললেন, ‘স্যারেন্ডার কর তুই। কেরিয়ার বরবাদ, আমি চাই তোর ফাঁসি হোক। এই কাজ করার আগে ভয় হয়নি তোর। আমরা বারবার তোকে সৎ ভাবে বাঁচতে শিখিয়েছি। আর তুই এমন কাজ করলি, আমরা মুখ দেখাতে পারব না। বেঁচে থাকার অধিকার নেই তোর। ফাঁসি হোক’।
advertisement
নিজেকে CBI-র স্পেশাল ক্রাইম ব্রাঞ্চের অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর হিসাবে পরিচয় দিয়ে ঠিক দেবাঞ্জনের মত করেই বহু মানুষকেই চাকরি দেওয়ার টোপ দিয়ে টাকা আত্মসাৎ করেছিল শুভদীপ। তবে তদন্তে জানা গিয়েছে, কলকাতায় CBI-র স্পেশাল ক্রাইম ব্রাঞ্চে অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টরের কোনও পদই নেই। এমনকি সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সের বিভিন্ন নথিতে সই করে সিলও দিয়েছে শুভদীপ, যা দেখে তাজ্জব হয়ে গেছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা।
দেবাঞ্জন, সনাতনের মতো শুভদীপের বিরুদ্ধেও উঠেছে একের পর এক গুরুতর অভিযোগ। মূল অভিযোগ, সরকারি চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছেন তিনি। শুভদীপের প্রাক্তন স্ত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতেই রবিবার প্রকাশ্যে আসে এই ঘটনা। এরপরই শুভদীপকে গ্রেফতার করতে তৎপর হয় পুলিশ। সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে শুভদীপ নিজেই জানিয়েছিল, সে দিল্লিতে আছে। আর তা জানা মাত্রই শুভদীপের মোবাইল লোকেশন ট্র্যাক করতে শুরু করে পুলিশ।
জানা যায় দেশের রাজধানীর একটি পাঁচতারা হোটেলে আত্মগোপন করে আছেন শুভদীপ। এরপরই দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেয় হাওড়া সিটি পুলিশের একটি দল। যোগাযোগ রাখা হয় দিল্লি পুলিশের সঙ্গে। দু'তরফের মেলবন্ধনেই এরপর তাজ হোটেল থেকে রবিবার গভীর রাতে গ্রেফতার করা হয় শুভদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে।