হুগলি, উত্তর ২৪ পরগণা ও নদীয়ার মধ্যে সংযোগকারী ঈশ্বর গুপ্ত সেতু। ১৯৮৯ সালে চালু হওয়া এই সেতুতে সমস্যা ধরা পড়ে ১৯৯৬ সালে। চালু হওয়ার ৭ বছরের মধ্যেই সেতুর ২ নম্বর পিলারে ধরা পড়ে ফাটল। সেই একই জায়গায় এবার বড়সড় ফাটল। সেতু বিপর্যয়ের কারণ হিসাবে উঠে এসেছে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য ৷
advertisement
১৯৯৬ সালে ২ নম্বর পিলারের টপ প্লেট ও বটম প্লেটে সমস্যা ধরা পড়ে ৷ সেই সময় বদল করা হয় টপ প্লেট, বটম প্লেট ও বিয়ারিং ৷ বিশেষঞ্জদের মতে, একটি বিয়ারিংয়ের স্থায়িত্ব সাধারণত ১৫ বছর পর্যন্ত থাকে ৷ এক্ষেত্রে সেতু চালুর ৭ বছরের মধ্যেই বিয়ারিং সমস্যা দেখা দেয় ৷ দুই পিলারের উপরে সিমেন্টের যে স্ল্যাব বসানো আছে তা যুক্ত করা আছে কংক্রিট ব্লক ও তার উপরে বসানো বটম প্লেট ও টপ প্লেট দিয়ে ৷ ২৭ বছর ধরে সেতুর উপরে গাড়ি যাতায়াতের চাপ বাড়ছে ৷ ২০ বছর পরে ফের সেই কংক্রিট ব্লকে ফাটল ধরা পড়েছে ৷ কংক্রিট ব্লকে ফাটল ধরা পড়ায় সরে গিয়েছে বিয়ারিং ,বটম ও টপ প্লেট ৷ এই অবস্থায় কার্যত সুতোর মতো ঝুলছে ঈশ্বর গুপ্ত সেতু ৷
পূর্ত দফতর ও রাইটসের কর্তারা সেতু সংষ্কার নিয়ে সোমবার বৈঠক করেন নবান্নে। ১৯৯৬ সালে সমস্যা ধরা পড়ার পর স্থায়ী সমাধানের ব্যবস্থা হয়নি। এমনকী রক্ষণাবেক্ষণও সঠিকভাবে করা হয়নি। যার ফলে প্রতিদিন এই সেতু দিয়ে যাতায়াতকারী বেশ কয়েকহাজার মানুষ বিপাকে পড়লেন।