বলরামপুরের ফুলবাজারে পরিত্যক্ত জমিতে কারখানায় তখন বিভিন্ন ধরণের বাজি তৈরির কাজ চলছিল। বেশ কয়েকজন শ্রমিক কাজ করছিলেন। ছিল ছ'ড্রাম ভরতি বিস্ফোরকও। আচমকা প্রচন্ড বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে এলাকা। বিস্ফোরণের জেরে বাজি কারখানার চাল উড়ে যায়। দমকলের তিনটি ইনজিন আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয় তেত্রিশ বছরের অনুপ দলুইয়ের দেহ। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তিন শ্রমিক এম আর বাঙুরে চিকিৎসাধীন। আহতদের মধ্যে রয়েছেন দুই ভাই নিমাই ও খোকন বর্মন। মৃত ও আহতরা সকলেই পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড়ের বাসিন্দা।
advertisement
ঘটনায় ধৃত কারখানা মালিক রমেশ সাউ ও কর্মী তরুণ দাস। তাদের আলিপুর আদালতে তোলা হয়। এই পরিত্যক্ত জায়গায় কী আদৌ বাজি তৈরি হচ্ছিল? না কী বাজির আড়ালে তৈরি হচ্ছিল বোমা? সমস্ত সম্ভাবনা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
তবে, এই ধরণের বিস্ফোরণ এলাকায় নতুন নয় । স্থানীয়দের দাবি, ফুলবাজারের ঘরে ঘরে দীর্ঘদিন বেআইনিভাবে বাজি তৈরির কাজ চলে। কারও কাছেই লাইসেন্স বা বৈধ কাগজপত্র নেই। আগেও এই ধরণের বিস্ফোরণ ঘটেছে এলাকায়। মৃত্যুও হয়েছে বেশ কয়েকজনের। তবু হুঁশ ফেরেনি পুলিশ, প্রশাসনের। নির্বিকার কারখানার মালিকরাও। পুলিশের ভূমিকা নিয়েই তাই প্রশ্ন উঠছে।