বর্ধমানের কার্জন গেট চত্বরে লক্ষ্মীর প্রতিমা বিক্রি করা হচ্ছে। ছাঁচের প্রতিমা থেকে শুরু করে খড়ের কাঠামোর প্রতিমা, সবই রয়েছে। বড় লক্ষ্মী প্রতিমার দাম এক থেকে দেড় হাজার টাকা। মাঝারি আকারের প্রতিমার দাম ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা। ছাঁচের ছোট প্রতিমা বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ৩০০ টাকায়।এ ছাড়া সরায় আঁকা প্রতিমা বিক্রি হচ্ছে একশো থেকে দেড়শ টাকায়।''
advertisement
আরও পড়ুন: ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে কার্নিভালের মঞ্চ ছাড়লেন পুরপ্রধান! কাণ্ড সরগরম
প্রতিমা বিক্রেতারা বলছেন, '' অনেক প্রতিমাই আসছে নদীয়া জেলা থেকে। কাঁচামালের দাম অনেকটা বেড়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে পরিবহণ খরচ। তাছাড়া অনেক প্রতিমা একসঙ্গে আনার সময় কিছু কিছু ভেঙেও যাচ্ছে। সব কিছুর কারণেই দাম কিছুটা বেড়েছে।''
ফলের বাজার যথেষ্টই আগুন। এক একটি নারকেল বিক্রি হয়েছে ৫০ টাকা দরে। পাকা আম-আঙুর প্রায় ৪০০ টাকা কেজি। আপেল, শাখআলু ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। কেজি প্রতি তরমুজ বিক্রি হয়েছে ৪০ টাকায়। মুসুম্বি, কমলালেবু, কাঁঠালি কলা সবের-ই দাম বেশি। বিক্রেতারা বলছেন, '' দুর্গা পুজোর পর তেমন বাজার থাকে না। সে জন্য ৩ দিন ফল আমদানি একরকম বন্ধ ছিল। লক্ষ্মী পুজোর জন্যই ফের ফলের কেনাবেচা চলছে। আমদানি কম থাকা ফলের দাম বাড়ার অন্যতম কারণ।''
আরও পড়ুন: হুমকি, প্রতারণা প্রেমিকার! ১৯ বছরের ছেলেটি নিল চরম সিদ্ধান্ত..ভেঙে পড়েছে গোটা গ্রাম
অনেকের বাড়িতেই ঘটা করে লক্ষ্মীপুজো হয়। অনেক আত্মীয়-স্বজনের সমাগম হয়। তাই খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা করতে এদিন বাজারে এসেছিলেন অনেকেই। সবজির আগুন-দাম দেখে চিন্তিত তাঁরা। পটল বিক্রি হয়েছে ৫০ টাকা কেজি দরে। এক-একটি বড় ফুলকপি বিক্রি হয়েছে চল্লিশ টাকায়। ভাল বেগুন কেজি প্রতি ষাট টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। টমেটো, গাজরের দাম ৮০ থেকে ৯০ টাকা কেজি। ক্যাপসিকাম, বিন, সজনে ডাটা, কাঁচা আম বিক্রি হয়েছে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা কেজি দরে।
Saradindu Ghosh