আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর ছোঁয়ায় বদলে গেল গোটা গ্রাম, ঠিক কী হয়েছে?
মরশুম শেষে হাতিরা ফিরে না যাওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দাদের বিপদ আগের থেকে অনেকটাই বেড়েছে। এমনকি ঝাড়খণ্ডের হাজারিবাগ থেকে আসা হাতিরাও পুরুলিয়ার বিভিন্ন বনাঞ্চলে স্থায়ীভাবে বসবাস করছে। এই মুহূর্তে জুড়ে চোখ রাঙাচ্ছে ৪৫ টি হাতি। হাতির সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার কারণে প্রায়শই হাতির আক্রমণের ঘটনা সামনে আসছে। যদিও বন দফতরের পক্ষ থেকে ধারাবাহিকভাবে প্রচার চালানো হচ্ছে সর্বত্র। কিন্তু তাতেও মাঝেমধ্যেই হয়ে যাচ্ছে দুর্ঘটনা।
advertisement
সম্প্রতি পুরুলিয়া বন বিভাগের কোটশিলা বনাঞ্চলের সিমনি বিটের কুমারডি গ্রামে হাতির আক্রমণে মৃত্যু হয়েছে এক তরুণীর। শৌচকর্ম করতে গিয়ে বুনো হাতির মুখোমুখি পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয় তার। বর্তমানে বসন্তের মরশুমে পুরুলিয়ায় ভিড় জমাচ্ছেন বহু পর্যটক। তাঁদের উদ্দেশ্যে সতর্কবার্তা দিচ্ছে বন দফতর। এই বিষয়ে পুরুলিয়া বন বিভাগের ডিএফও অঞ্জন গুহ বলেন, বনদফতরের পক্ষ থেকে ধারাবাহিকভাবে মাইকিংয়ের মাধ্যমে প্রচার চালানো হচ্ছে। এছাড়াও সমস্ত জায়গায় নজরদারি রয়েছে। বর্তমানে বহু টুরিস্ট পুরুলিয়ায় বেড়াতে আসছেন। তাই তাঁদের কাছে অনুরোধ, তাঁরা যেন কোনওভাবেই বনাঞ্চলের দিকে না যান। হোটেল, রিসর্টগুলির কর্ণধারদেরও অনুরোধ করা হচ্ছে তাঁরাও যাতে পর্যটকদের সচেতন করেন।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, অযোধ্যা ও মাঠা বনাঞ্চলেই ১২-১৪ টি হাতি আছে। এই এলাকাতেই সবচেয়ে বেশি পর্যটকদের ভিড় হয়। ফলে সাবধানতা অবলম্বন করার কথা বলেছে বন দফতর। এই সময় পর্যটকরা পলাশ দেখতে একেবারে জঙ্গলের ভিতরে চলে যান। এতে বিপদের আশঙ্কা বাড়ে। এই পরিস্থিতিতে জঙ্গল লাগোয়া এলাকাজুড়ে সতর্কবার্তা প্রচার চালানোর উপর আরও গুরুত্ব দিয়েছে বন বিভাগ।
শর্মিষ্ঠা ব্যানার্জি