ইতিমধ্যে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এফআইআরের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। চারটি রাজ্য ও একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মুখ্য সচিবদের অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এফআই করার নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। কিছুদিন আগেই নির্বাচন কমিশনকে ভর্তসনা করেছিল মাদ্রাজ হাইকোর্ট। বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় কমিশনের কর্তাদের তিরস্কার করে জানিয়েছিলেন, দেশের করোনা পরিস্থিতি মারাত্মক আকার ধারণ করার জন্য নির্বাচন কমিশন দায়ী। এমনকী কমিশনের কর্তাদের বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের হওয়া উচিত বলেও মন্তব্য করেছিলেন তিনি। ইতিমধ্যে নির্বাচন কমিশন মাদ্রাজ হাইকোর্টের এমন মন্তব্যের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে। আদালতের এমন মন্তব্যকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে কমিশন। সেদিন মাদ্রাজ হাইকোর্টের তরফে নির্বাচন কমিশনকে সতর্ক করা হয়েছিল, ভোট গণনার দিন যেন কোনওভাবেই কোভিড বিধির দফারফা না হয়! কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল উল্টো চিত্র। বিভিন্ন জায়গায় বিজয়ী দলের কর্মী-সমর্থকদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। নিজেদের মধ্যে আবির খেললেন সমর্থকরা।
advertisement
অনেকেরই মুখে মাস্ক ছিল না। কারও কারও আবার মাস্ক থুতনির নিচে নেমে গিয়েছিল। গত ২৪ ঘন্টায় সারা দেশে করোনায় মৃতের হার রেকর্ড করেছে। এমন পরিস্থিতিতে বিজয়োৎসব হলে মহামারী আরো মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে। এই আশঙ্কায় আদালত কমিশনকে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। গণনার দিন যাতে কোনোভাবেই কোনো বিজয়মিছিল বা জামায়াত না হয়, সেই ব্যাপারেও রীতিমতো বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল কমিশন। কিন্তু শেষমেশ গণনার দিনও নির্বাচন কমিশনের নিষেধাজ্ঞা কাজে দিল না। আবেগ ধরে রাখতে পারলেন না বিজয়ী দলের কর্মী সমর্থকরা। ফলে আগামী দিনে এই আবেগের জন্য বড়সড় দাম দিতে হতে পারে সবাইকে।