প্রচারে বেরিয়ে তিনি বলছেন- গত তিন দশকের ধারাবাহিকতা রেখে এবারও আমি জিতবো!
নিজের জয়ের বিষযে একশো শতাংশ নিশ্চিত হলেও তমলুকের ভানুপদ সাহাকে এবার নতুন করে প্রতীক চেনাতে পাড়ায় পাড়ায় ঘুরতে হচ্ছে। বয়সের ভারে নুয়ে পড়া নয়, বরং বয়সের কারণে তাঁর অভিজ্ঞতার ভাঁড়ার পুর্ন হয়েছে দাবি করে গত তিন দশকের মতো এবারও তমলুকের পুরসভা ভোটের লড়াইয়ে নেমে চার নম্বর ওয়ার্ডের নির্বাচনী ময়দান কাঁপাচ্ছেন তিনি।
advertisement
আরও পড়ুন: নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে পায়ের জাদু দেখালেন রহিম, মেহতাব, আলভিটোরা
কখনও কংগ্রেস,কখনও বা তৃণমূলের টিকিটে ভোট প্রার্থী হিসেবে ভানুপদ সাহাকে দেখা গিয়েছে।
সংরক্ষণের গেরোয় এই ওয়ার্ডটি যখনই মহিলা আসন হয়েছে, তখন ভানুপদর স্ত্রীই এখানে ভোট প্রার্থী হয়েছেন। কখনও কখনও স্বামী এবং স্ত্রী, একসঙ্গে দু' জনও প্রার্থী হয়েছেন। এবার সেই বর্ষীয়ান মানুষটিকেই প্রার্থী করেনি তৃণমূল। ক্ষুব্ধ সেই প্রাক্তন কাউন্সিলর ভানুপদ সাহা তাই নির্দল প্রতীক নিয়েই ভোট ময়দান চষে বেড়াচ্ছেন।
আরও পড়ুন: কেমন ছিলেন কেষ্ট মণ্ডল আর আজ কেমন? বড় পদক্ষেপ স্বয়ং অনুব্রতর, তুমুল শোরগোল বীরভূমে
তাঁর ভোট লড়াই ঘিরে যেন ভানুমতির নয়, ভানুপদর খেল দেখছে তমলুক!
স্ত্রী দু'বারের কাউন্সিলর। তিনি নিজেও একটানা কাউন্সিলরের দায়িত্ব পালন করে চলেছেন। তাম্রলিপ্ত পৌরসভার চার নম্বর ওয়ার্ডের ভানুপদ সাহা আশিতেও অপ্রতিরোধ্য! এক কথায়, ৮০-তে আসিও না নীতিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ছুটছেন সবদিকেই।
সূত্রের খবর, ভানুপদকে প্রার্থী পদ প্রত্যাহার করার জন্য বারবার অনুরোধ উপরোধ করেছে দল। কিন্তু কাজ হয়নি। দলের রাজ্য নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুব্রত বক্সিদের হুঁশিয়ারি, জেলার মানুষ সেচ মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্রের বাড়ি গিয়ে সব অনুরোধকেই উপেক্ষা করে তিনি দাঁড়িয়ে পড়েছেন ভোটে। দলের নির্দেশকে তোয়াক্কা না করেই নিজের মতো করে প্রচারও চালাচ্ছেন তিনি। বলছেন - জয় আমার সুনিশ্চিত! এখন দেখার, চার নম্বর ওয়ার্ডের এই ভোটের লড়াইয়ে শেষ হাসি কে হাসে!