এগরা বিস্ফোরণ কাণ্ডের পর ক্ষতবিক্ষত ছিলেন মূল অভিযুক্ত কৃষ্ণপদ ওরফে ভানু বাগও৷ কিন্তু, সে সব তোয়াক্কা না করেই ঘটনার ঘণ্টাখানেকের মধ্যে বাড়ি ছাড়েন তিনি৷ তখনও ভানু ছিলেন রক্তাক্ত৷ বেশিদূর যাওয়ার ক্ষমতা তাঁর ছিল না৷ সেটা বুঝেই সিআইডি আধিকারিকেরা আন্দাজ করেছিলেন, পালালেও, খুব বেশি দূরে যাননি অভিযুক্ত৷ শুরু হয় তল্লাশি৷
advertisement
গত বুধবার সকালেই ওড়িশার উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল সিআইডির বিশেষ দল৷ এদিকে ভানু ঘনিষ্ঠ ৪ জনকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদও শুরু হয়৷ সবশেষে রাতেই মিলেছিল সাফল্য৷ সিআইডি আধিকারিকদের হাতে ধরা পড়ে গিয়েছিলেন ভানু৷ ভানুর পাশাপাশি গ্রেফতার করা হয়েছিল তাঁর ছেলে পৃথ্বীজিৎ বাগ এবং ভাইপো ইন্দ্রজিৎ বাগ৷
আরও পড়ুন: তৃণমূলে বিরাট ভাঙন, দলে-দলে যোগ সিপিআইএম-এ! ‘সৌজন্যে’ কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়
তবে গ্রেফতার করা হলেও ভানুকে এখনই এ রাজ্যে আনা সম্ভব ছিল না৷ জানা গিয়েছে, ওড়িশায় পৌঁছেই আশঙ্কাজনক অবস্থায় নার্সিংহোমে ভর্তি হয়েছিলেন ভানু বাগ। ওড়িশার কটকের রুদ্র নার্সিংহোমেই ভর্তি ছিলেন তিনি৷ তাঁকে বেডের উপরে কলাপাতা বিছিয়ে শুইয়ে রাখা হয়েছিল। সেই ছবিও প্রকাশ্যে আসে। তবে, ওড়িশা পুলিশ ছিল পাহারায়৷ একটু সুস্থ হলেই ভানুকে ট্রানজিট রিম্যান্ডে পশ্চিমবঙ্গে নিয়ে আসা হত। কিন্তু তার আগেই মৃত্যু হল ভানুর।