গাপ্পি মাছ মশার লার্ভা খেয়ে ফেলে। ডেঙ্গির মশার বাড়বাড়ন্ত ঠেকাতে গাপ্পি মাছের জুড়ি মেলা ভার। তবে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন জলাশয়ে তেমন গাপ্পি মাছ নেই। তাই পাশের পূর্ব মেদিনীপুর থেকে গাপ্পি মাছ নিয়ে আসতে হয়। তাতে খরচ ও পরিশ্রম দুই-ই বাড়ে। সেইকারণেই, প্রশাসনের উদ্যোগ, জেলাতেই গাপ্পি মাছ চাষ হবে। চন্দ্রকোণা এক নম্বর ব্লকের মানিককুণ্ডু পঞ্চায়েতের কাশন্ড গ্রামের সংখ্যালঘু মহিলা সাবিনা ইয়াসমিন স্বনির্ভর দলের নেত্রী। তিনি বাড়ির চৌবাচ্চাতেই গাপ্পি মাছের চাষ করছেন। পাশে দাঁড়িয়েছে চন্দ্রোকোণা এক ব্লক প্রশাসন।
advertisement
চৌবাচ্চায় গাপ্পি মাছের চাষ-
- চন্দ্রকোণা ১ ব্লক প্রশাসনের উদ্যোগে ৭৭ হাজার ৮৪৫ টাকা আর্থিক সহায়তা করা হয়েছে
- বাড়িতেই চৌবাচ্চা বানিয়ে গাপ্পি মাছের চাষ হচ্ছে
- বাড়িতে চাষ করা গাপ্পি মাছ বিক্রি করবেন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যরা
- বিভিন্ন স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে বাড়িতেই গাপ্পি মাছ চাষের প্রক্রিয়া শেখানো হবে
ডেঙ্গির প্রকোপ কমাতে মাছ চাষের এই উদ্যোগে সবসময়ই পাশে আছে প্রশাসন। এখানেই থেমে না থেকে চন্দ্রকোণা এক ব্লক প্রশাসন আরও সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
বাড়ির চৌবাচ্চায় স্বনির্ভর দলের সদস্যরা গাপ্পি মাছ চাষ করার পর বংশবৃদ্ধি ঘটছে ভালই। সেই মাছ চাষ করে সংসারে লাভের মুখ দেখছেন স্বনির্ভর দলের সদস্যরা। ডেঙ্গির মশার বাড়বাড়ন্ত রুখতে রাজ্যজুড়ে বিভিন্ন জলাশয়ে গাপ্পি মাছ চাষের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। আর জলাশয়ের বদলে যদি বাড়ির চৌবাচ্চাতেই এই উদ্যোগ নেওয়া যায়, তাহলে যেমন রোগের প্রকোপ কমবে, তেমনই সংসারে আয়ও হবে। গাপ্পি মাছ চাষে তাই জোড়া সুফল।