সরল-সাদামাটা মুখ। গ্রামবাংলার ভেজা মাটির সোঁদা গন্ধ যেন খেলা করছে চোখে-মুখে। ঘন মিশকালো চেহারায় কী অদ্ভুত এক দীপ্তি। মৌসুমি, শ্যামলী, শিখাদের মত এরকম ছ'জন। এঁদের শান্ত-নিষ্পাপ চাহনি নিমেষে বদলে দিচ্ছে হরেক সাজের মুখোশ। ছৌ নৃত্যের আবহে বেড়ে ওঠা মেয়েরা দিকে দিকে ছড়িয়ে দিচ্ছেন তাদের সংস্কৃতি।
তাল-ছন্দে শরীরি ভঙ্গিমার মারপ্যাঁচ। সঙ্গে প্রচণ্ড শক্তি আর ভারসাম্যের কৌশল। পুরুলিয়ার ছৌনাচের দলগুলিতে পুরুষ শিল্পীরাই যুক্ত ছিলেন। মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের কন্যাশ্রী প্রকল্প এগিয়েছে বাংলার মেয়েদের। বলরামপুরের মালডি ছৌ নাচের দলে পুরুষদের সঙ্গেই যোগ দিয়েছে ছয় মহিলা শিল্পী। পৌরাণিক বিভিন্ন কাহিনী নিয়েই তৈরি হয় নাচের পালা।
advertisement
পিছিয়ে নেই মেয়েরা। নারীর ক্ষমতায়নে সবসময়ই তৎপর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। সরকারি বা অন্য অনুষ্ঠানে ডাক পাচ্ছেন মহিলা ছৌ শিল্পীরা। রাজ্য বা দেশের সীমানা ছাড়িয়েছে আগেই। আন্তর্জাতিক ব্যাপ্তির আকাশেও পৌঁছেছে পুরুলিয়ার ছৌনাচ। মাটিতে পা রেখেই সেই আকাশে স্বপ্নের পাখনা মেলেছে নারী। চোখ নামিয়েছে সামাজিক প্রতিবন্ধকতা।