মাটির উপর ছোট ছোট সবুজ গাছ। কোনওটায় লাল টুকটুকে পাকা । কোনওটায় আবার কাঁচা। থোকা থোকা ফলে আছে স্ট্রবেরি। না, পাহাড়ি কোনও এলাকা নয়। সোনালি রোদ ছড়ানো এই জমি হাওড়ার বাগনানের।
হরেক রকমের ফুল। গাঁদা-গোলাপ আরও কত কি। বাগনানের ফুলের সমাদর ছিল রাজ্যের বাইরেও। প্রকৃতির খামখেয়ালিপনায় অবশ্য ছবিটা বদলাতে শুরু করে। পরিশ্রমের ফসল মাঠেই মারা যায়। ফুলচাষে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হন চাষিরা।
advertisement
ফুলচাষিদের পাশে দাঁড়াতে মাঠে নামে কৃষি দফতর। এক নম্বর ব্লকের গোপালপুরে কৃষি দফতরের উদ্যোগে পরীক্ষামূলকভাবে করা হয় স্ট্রবেরি চাষ। আর তাতে কয়েকদিনের মধ্যেই লাভের মুখ দেখেছেন চাষিরা। এক বিঘা জমিতে প্রায় পাঁচ হাজারের মত স্ট্রবেরি চাষ করা যায়।
লাভের ফল স্ট্রবেরি
---------------------
- আতমা প্রকল্পের মাধ্যমে স্ট্রবেরি চাষ
- ১ কাঠা জমিতে পরীক্ষামূলক চাষ
- ১০০টি স্ট্রবেরির চারা দেওয়া চাষিদের
- সার ও অন্য সামগ্রী কিনতে ৪ হাজার টাকা (দেয় কৃষি দফতর)
- একটি গাছ থেকে প্রায় দেড় কেজি স্ট্রবেরি
- পাইকারি বাজারে স্ট্রবেরির দাম ২৫০-৩০০ টাকা/ কেজি
কম খাটুনিতেই ফলন বেশি। লাভের আলোয় চাষিদের মুখ উজ্জ্বল । পরীক্ষামূলকভাবে করা বিকল্প চাষ নিরাশ করেনি। ভরসা পেয়েছে পঞ্চায়েত সমিতিও। আগামীদিনেও রাজ্য সরকারি উদ্যোগে নতুন চাষে উৎসাহী করা হবে চাষিদের।
দক্ষিণবঙ্গের জমি আর আবহাওয়া। স্ট্রবেরি চাষ নিয়ে প্রথমদিকে একটু হলেও চিন্তায় ছিলেন চাষিরা। নাহ, রসালো লাল ফলের আভায় সেই চিন্তা ঘুচেছে। সোনালি রোদ গায়ে মেখে এগিয়ে চলেছেন চাষিরা। তাঁদের হাতেই এগিয়ে চলছে সাধের স্ট্রবেরি চাষ।