থোকা থোকা মাশরুম। কোনওটা ফুলের মত, কোনওটা ঝিনুক আবার কোনওটা যেন বোতাম। সরকারি আর্থিক সহায়তায় মাশরুম চাষ করে আর্থিক স্বাধীনতার স্বাদ পেয়েছেন বর্ধমানের রায়ানের মহিলারা।
শুধু বাড়ির কাজে নিজেকে সীমাবদ্ধ রাখা কেন? রায়ানের মহিলারা চেয়েছিলেন আর্থিক দিক থেকে স্বনির্ভর হতে। চেয়েছিলেন সংসারে আয় বাড়াতে। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত হওয়া সেই ভাবনা থেকেই। নিজেদের ফাঁকা জায়গা আছে দেখিয়ে ব্লক অফিসে মাশরুম তৈরির পরিকল্পনা জমা দেন। এরপরই এগিয়ে আসে প্রশাসন। মাশরুম তৈরির প্রশিক্ষণ মিলেছে। ব্যাঙ্ক থেকে ঋণেরও ব্যবস্থা হয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: #EgiyeBangla: জল ধরো জল ভরো প্রকল্পের আওতায় বন্যা নিয়ন্ত্রণে কাটা হচ্ছে ক্যানাল
কীভাবে মাশরুম চাষে স্বনির্ভর হলেন মহিলারা ?
- আত্মা প্রকল্পে মাশরুম চাষ
- খড়, বীজ, চুন, ফরমালিন-সহ কাঁচামাল কেনার ভর্তুকি
- প্রত্যেক মহিলাকে ১৬ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে
- মাশরুমের একটি বেড তৈরিতে ৪০ টাকা
- একটি বেড থেকে আড়াই কেজি পর্যন্ত ফলন
- এক কেজি মাশরুম ১৫০ টাকায় বিক্রি
- দিনে গড়ে ৭০০-৮০০ টাকার মাশরুম বিক্রি
মহিলাদের স্বনির্ভরতার সাধ পূরণ করতে পেরে খুশি প্রশাসনও। এলাকায় মাশরুমের চাহিদাও ব্যাপক। ফলে বিক্রিও হচ্ছে রমরমিয়ে। মহিলারা উৎসাহিত হয়ে পোয়াল ছাতু চাষেরও উদ্যোগ নিচ্ছেন।
আরও পড়ুন: #EgiyeBangla: মালদহের আমকে বিশ্বের দরবারে পৌঁছোনর উদ্যোগ রাজ্য সরকারের