সূত্রের খবর, বুধবার সকালে চারটি গাড়িতে করে ইডির আধিকারিকরা কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে ক্ষেমতা গ্রামে হাজির হন। এরপরেই জিন্নার আলির বাড়ি ঘিরে ফেলে কেন্দ্রীয় বাহিনী। বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করেন। শুরু হয় তল্লাশি। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, নিজেকে ন্যাশনাল অ্যান্টি ট্রাফিকিংকমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে পরিচয় দেওয়া শেখ জিন্নার আলির বিরুদ্ধে সম্প্রতি চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ, তিনি নিজেকে সিজিও কমপ্লেক্সের ইডি অফিসার পরিচয় দিয়ে এক বালি ব্যবসায়ীর কাছ থেকে দেড় কোটি টাকা আদায় করেছেন। শুধু তাই নয়, অভিযোগকারী বালি ব্যবসায়ীর দাবি, শেখ জিন্নার একাধিকবার তাকে হুমকি দিয়ে সিজিও কমপ্লেক্সে হাজির হতে বাধ্য করার চেষ্টা করেন।
advertisement
অভিযোগের ভিত্তিতে দিল্লি থেকে কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের একটি বিশেষ তদন্তকারী দল শেখ জিন্নার বাড়িতে হাজির হন। জিন্নার আলির বাড়ি ঘিরে রেখে কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং একাধিক ইডি আধিকারিক বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করে তল্লাশি শুরু করে। সাত সকালে তল্লাশি শুরু হলেও সারাদিন বাড়ির মধ্যেই ছিল তদন্তকারী দল। বেশ কিছু নথি তারা বাজেয়াপ্ত করেছে বলে জানা গিয়েছে। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, জিন্নারsj রায়না, কলকাতা, বাঁকুড়ার বাড়ি-সহ পাঁচ জায়গায় ইডির নজর রয়েছে। ইডির পাঁচটি টিম একসঙ্গে কাজ করছে। তবে জিন্না ঠিক কী কাজ করতেন সে ব্যাপারে তেমন কোনও ধারণা নেই এলাকার বাসিন্দাদের। তবে গত কয়েক বছরে জিন্নার যে বহু সম্পত্তির মালিক হয়ে গিয়েছিলেন, সে কথা মানছেন তাঁরা। ইদানিং সে অনেক জমিও কিনেছিল বলে জানিয়েছেন তাঁরা।