পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পাঁশকুড়া ব্লকের প্রায় ২৫০০ হেক্টর জমিতে চন্দ্রমল্লিকা চাষ হয়। পাঁশকুড়ার সরকারি হিমঘর খারাপ থাকায় এতদিন বেশি টাকা খরচ করে কৃষকদের বেসরকারি হিমঘরে ফুল রাখতে হত। এর কারণেই বছরের সেরা ব্যবসার সময় হিমঘর খারাপ থাকায় চিন্তায় পড়েছিলেন পাঁশকুড়ার ফুল চাষি থেকে ব্যবসায়ীরা। অবশেষে চালু হতে চলেছে পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়া ফুলবাজারে রাজ্যের একমাত্র ফুল রাখার হিমঘর। আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে চালু হতে চলেছে বন্ধ থাকা জেলার পাঁশকুড়া ফুলবাজারের হিমঘর। ফলস্বরূপ চলতি শীতের মরশুমের বিয়ে বাড়ির জন্য ব্যবহৃত ফুল সহ ভ্যালেন্টাইন ডে উপলক্ষে ব্যাপক পরিমাণে গোলাপ সহ সমস্ত রকম ফুল এই হিমঘরে রাখা যাবে।
advertisement
পাঁশকুড়া ফুলবাজার পরিচালন সমিতির এক গুরুত্বপূর্ণ সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সভায় সভাপতিত্ব করেন পরিচালন সমিতির চেয়ারম্যান তথা তমলুকের মহকুমা শাসক দিব্যেন্দু মজুমদার। সভায় উপস্থিত ছিলেন উদ্যান পালন দফতরের জেলা আধিকারিক অতনু গুপ্ত, পাঁশকুড়া ব্লকের বিডিও, ফুল চাষি ও ফুলব্যবসায়ী সমিতির প্রতিনিধিরা।
ডাঁটাযুক্ত ফুলের ক্ষেত্রে বোঝা (১০০০-১৫০০ পিস) পিছু সাত দিনের জন্য ভাড়া বাবদ নেওয়া হবে ১১০ টাকা। ১৫ দিনের জন্য ২০০ টাকা ভাড়া। ঝুরো ফুলের ক্ষেত্রে ছোট প্যাকেটের (৭-১০ কেজি) জন্য ৫০ টাকা নেওয়া হবে, বড় প্যাকেটের ফুল চাষি ও ফুলব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ভাড়া বাবদ (১৫-২০ কেজি) জন্য ১০০ টাকা নেওয়া হবে। জেলা উদ্যান পালন বিভাগের আধিকারিক অতনু গুপ্ত জানান, ‘হিমঘর চালুর পাশাপাশি বাজারটির সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য আরও নানা ধরনের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। রাজ্য হর্টিকালচার দফতর প্রায় ৩৭ লক্ষ টাকা ব্যয়ে হিমঘরটি সংস্কার করছে। ফুলের প্যাকেজিংয়ের জন্য নতুন কক্ষ নির্মাণ, নিলাম কক্ষ, অফিস গৃহ, শৌচাগার সহ পূর্ণাঙ্গ বাজারটি সংস্কার করা হয়েছে। ডিসেম্বরের শুরুর দিন থেকেই খুলে দেওয়া হচ্ছে।’
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
পাঁশকুড়ার এক ফুল চাষি ও ব্যবসায়ী জানান, হিমঘর না থাকায় বেশি দামে বেসরকারি হিমঘরে ফুল মজুত করতে হত। আগামী সোমবার থেকে সেই চিন্তা দূর হবে। সরকারি হিমঘরে নামমাত্র খরচে ফুল রাখা যাবে। এতে লাভের অঙ্ক অনেকটাই বাড়বে। ফলে শীতের মরসুমে চন্দ্রমল্লিকা সংরক্ষণ নিয়ে এলাকার ফুল চাষিদের দুশ্চিন্তা দূর হল। হিমঘর চালুর পাশাপাশি বাজারটির সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য আরও নানা ধরনের পরিকল্পনা গ্রহণের ফলে উপকৃত হবেন এলাকার ফুল ব্যবসায়ী থেকে ফুল চাষিরা। পাঁশকুড়া সহ পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ফুল চাষে নতুন দিগন্ত খুলবে।





