পূর্ব মেদিনীপুরে ভয়ঙ্কর ঘটনা৷ সহপাঠীনির জলের বোতলে কীটনাশক মেশানোর অভিযোগ উঠল তাঁরই সতীর্থের বিরুদ্ধে৷ থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করলেন সেই স্কুলের প্রধান শিক্ষক৷ ঘটনাস্থলে পুলিশ, উদ্ধার করা হয় ওই জলের বোতলটি।
advertisement
মঙ্গলবার দুপুরে ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রী মিড ডে মিলের খাবার খেয়ে ক্লাসে যাওয়ার পর, তার পাশে বসা বন্ধুর বোতলে জল খায়৷ কিন্তু, জল খাওয়ার সময় স্বাদটা তেতো তেতো লাগে৷ তখনই সেই জলের বোতল ফেলে দেয় সে৷ পরে তার সহপাঠীরা জলে কটূ গন্ধ পাচ্ছে বলে জানালে, ওই ছাত্রী স্কুলের শিক্ষককে পুরো বিষয়টি জানায়৷ এই ঘটনায় ওই ক্লাসেরই বেশ কয়েকজন ছাত্রকে সন্দেহের তালিকায় নিয়ে স্কুলের পক্ষ থেকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে, ওই ক্লাসেরই ‘ফার্স্ট বয়’কে চিহ্নিত করে তারা৷
ওই ক্লাসের ফার্স্ট বয় জলের বোতলে কীটনাশক মেশানোর বিষয়টি স্বীকার করে নেয় বলে দাবি করেছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ৷ ওই ছাত্রটি নাকি শিক্ষকদের জানিয়েছে, তাকে এক অজ্ঞাতপরিচয় যুবক ওই কীটনাশক দিয়ে, এক ছাত্রীর জলের বোতলে মিশিয়ে দেওয়ার কথা বলেন৷ ওই ছাত্রের দাবি, প্রথমে ভয় লাগলেও পরে ওই অজ্ঞাত পরিচয় যুবকটি মারধরের ভয় দেখালে মঙ্গলবার স্কুলের টিফিনের সময় ওই সহপাঠীর জলের বোতলে কীটনাশকটি মিশিয়ে দেয়৷
যদিও ওই স্কুলের এক শিক্ষকের অনুমান, ওই ছেলেটির প্রথম থেকেই ক্লাসের ফার্স্ট হয়, ছেলেটি দিনের বেশিরভাগ সময় পড়াশোনা নিয়েই থাকত, ছেলেটির এক সহপাঠীনি প্রথম দু’টি সেমিস্টারে ছেলেটির থেকে বেশি নম্বর পাওয়ায়, ভয় বশত অথবা ‘ইগো হার্ট’ হওয়ায়, ওই ছাত্রীটি যাতে তার থেকে এগিয়ে না যেতে পারে, তাই ওই ছাত্রীর ব্যাগের পাশে রাখা একটি জলের বোতলে কীটনাশক মিশিয়ে দেয় সে৷
ওই শিক্ষক জানিয়েছে, জলের বোতলটি অন্য এক সহপাঠীর কাছে থাকায়, সে ওই বোতলে জল খাচ্ছিল, সেই সময়ই এই ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে৷ যদিও এই ঘটনায় ছাত্রটি পুরোপুরি সুস্থ রয়েছে। গতকাল, অর্থাৎ বুধবার ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক পাঁশকুড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে, তবে কী কারণে বোতলের জলে কীটনাশক মিশিয়ে ছিল তা তদন্ত ছাড়া স্পষ্ট নয়।
