জামালপুরে দামোদর তীরবর্তী এলাকায় ব্যাপক আলু চাষ হয়। এবার ফলন ভাল হবে বলেই আশা করেছিলেন কৃষকরা। কিন্তু বৃহস্পতিবারের মুষলধারে বৃষ্টিতে মাথায় হাত তাঁদের। কৃষকদের আশংকা, জমির জল বের করা যাচ্ছে না। এর ফলে জমিতে পচন দেখা দেবে। শিলাবৃষ্টির দরুনও আলুর ক্ষতি হয়েছে। সব মিলিয়ে সিকিভাগ ফলনও পাওয়া যাবে না বলে মনে করছেন তাঁরা।
advertisement
স্থানীয় চাষী বিমল হাজরা বলেন, ‘জমির উপর এখনও জল দাঁড়িয়ে রয়েছে। সেই জল বের করা গেলে হয়তো আলু গাছ বাঁচানো সম্ভব হত। কিন্তু সেই জল বের করার পথ পাওয়া যাচ্ছে না। কারণ, পাশেও তো আলু জমি রয়েছে।তাই জল জমিতেই থেকে যাচ্ছে। বৃষ্টির পর আলু দেখা যাচ্ছে। সেই আলু রোদ পেলে সবুজ হয়ে যাবে। তখন আর তার কোন দাম পাওয়া যাবে না। তাছাড়া জল জমে থাকার কারণে গাছের কান্ড ও গোড়া পচা রোগ দেখা দেওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সব মিলিয়ে ফলন মিলবে না বললেই চলে।’
এলাকার কৃষকরা জানান, বৃষ্টির একটা পূর্বাভাস ছিল। কিন্তু এত বৃষ্টি হবে তা আগাম অনুমান করা যায়নি। সকালে কালো মেঘে আকাশ ঢেকে যায়। এক রকম সন্ধের আঁধার নেমে আসে। শুরু হয় ঝোড়ো হওয়ার সঙ্গে মুষলধারে বৃষ্টি। তার সঙ্গে শিলাবৃষ্টিও হয়েছে। শিলাবৃষ্টির আঘাত খাওয়া আলুতে ক্ষত সৃষ্টি হয়েছে। দুই একদিনের মধ্যেই সেই আলু পচে যাবে। তা থেকে অন্য আলুর পচন দেখা দিতে পারে। ধসা রোগের হাত থেকে আলু বাঁচাতে জমিতে বেশ কয়েকবার কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়েছিল। তাতে চাষের খরচ আরো বেড়েছিল। এখন এই অকাল বৃষ্টির কারণে কতটুকু আলু পাওয়া যাবে তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ দেখা দিয়েছে।