রাজ্যের শস্য ভাণ্ডার হিসেবে পরিচিত পূর্ব বর্ধমান জেলা। রাজ্যের মধ্যে এই জেলায় প্রচুর পরিমাণে ধান উৎপন্ন হয়। পূর্ব বর্ধমান জেলার গলসিকে শস্যগোলা বলা হয়। জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ধান উৎপন্ন হয় এখানেই। এছাড়াও জেলার আউশগ্রাম, ভাতার, মন্তেশ্বর, কাটোয়া, খন্ডঘোষ, রায়নার একটা বড় অংশেই ব্যাপক পরিমাণে ধান চাষ হয়। কৃষকরা বলছেন, প্রথম দিকে বৃষ্টি কম হওয়ায় ধান রোয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দিয়েছিল।
advertisement
আরও পড়ুন : আবহাওয়ার খামখেয়ালীপনায় আলুর দাম হতে পারে আকাশছোঁয়া, আতঙ্কিত কৃষকরা
চাষ শুরুর দিকে কিছুটা সমস্যা হলেও পরবর্তী সময়ে পরিবেশ অনুকূলই ছিল। প্রাকৃতিক বিপর্যয় বা রোগ পোকার আক্রমণ সেভাবে দেখা না দেওয়ায় এবার ধানের ব্যাপক ফলন হয়েছে। সে কারণে এ বার অনেক চাষি লাভের মুখ দেখেছেন। ধান কাটা বা ঝাড়ার সময়ও আবহাওয়া বাধা সৃষ্টি করেনি। সেই ধান গোলায় তুলে রেখে এখন বোরো চাষের জন্য উদ্যোগী হয়েছেন কৃষকরা।
আরও পড়ুন : মিষ্টির দোকান থেকে নিয়ে এ কী জিনিস মেশানো হচ্ছে দুধে! আপনিও কি এই ভেজাল দুধ কিনছেন নাকি
বেশিরভাগ এলাকাতেই চাষিদের বাড়িতে প্রচুর পরিমাণ ধান মজুত রয়েছে। আগামী দিনে খোলা বাজারে দাম আরও বাড়বে বলে অনেকেই মনে করছেন। সেই কারণে অনেকে ধান বিক্রি করতে চাইছেন না। তাছাড়া এখন খোলা বাজারেও ধানের দাম বেশি রয়েছে। ফড়েরা বাড়ি থেকে ধান কিনে নিয়ে যাচ্ছে। চাষিদের পরিবহণের ঝক্কি নিতে হচ্ছে না। এছাড়া গোলা থেকেও ধান নামানোর জন্য আলাদাভাবে শ্রমিক নিয়োগ করার দরকার হয় না। কৃষকরা বলছেন, ধান আলুর মতো পচনশীল নয়। জলে ভিজে না গেলে ধান দীর্ঘদিন ভাল থাকে। খোলা বাজারে যেমন ধান বিক্রি হচ্ছে তেমনই সরকারও সহায়ক মূল্যে ধান কিনছে। কিছুদিন পর আরও চাহিদা তৈরি হলে খোলা বাজারে দাম বাড়বে। তখন আর একটু বেশি দামে ধান বিক্রি করে লাভের অংক বাড়িয়ে নিতে চাইছেন কৃষকদের অনেকেই।