পূর্ব বর্ধমান জেলায় জুন মাসে একসঙ্গে ৩৪ জন ডেঙ্গি আক্রান্তের খোঁজ মিলেছিল । এর পরই নড়েচড়ে বসে জেলা স্বাস্থ্য দফতর। অগাস্ট মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত এই জেলায় এখন পর্যন্ত ৭৭ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। এমনিতে শহর এলাকায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বেশি দেখা যায়। কিন্তু এ বার গ্রামীণ এলাকাগুলিতেও অনেক ডেঙ্গি আক্রান্তের খোঁজ মিলছে, যা চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে স্বাস্থ্য দফতরের।
advertisement
জেলা স্বাস্থ্য দফতরের এক আধিকারিক জানান, " গত সাত মাসে বর্ধমান শহরে মাত্র চার জন ডেঙ্গি আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে । এই সময়ের মধ্যে কাটোয়া শহরে আক্রান্ত হয়েছেন এক জন । গুসকরা, কালনা বা মেমারি পুরসভা এলাকায় কোনও ডেঙ্গি আক্রান্ত মেলেনি । সেই জায়গায় ভাতার ব্লকে ১০ জন ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন । গলসি এক নম্বর ব্লকে আক্রান্ত হয়েছেন আট জন। তাই শহর এলাকার পাশাপাশি গ্রামীণ এলাকাতেও এবার ডেঙ্গি মোকাবিলায় বাড়তি জোর দেওয়া হচ্ছে ।
আরও পড়ুন : চালের আকাশছোঁয়া দাম কমবে কবে, জানুন ব্যবসায়ীরা কী বলছেন
ইতিমধ্যেই চোদ্দ লক্ষ গাপ্পি মাছ ছাড়া হয়েছে । এই মাছ মশার লার্ভা খেয়ে ফেলে। এছাড়াও স্প্রে করা হচ্ছে। গ্রাম সম্পদ কর্মীদের ১৫ দিনে দুবার করে বাড়ি বাড়ি গিয়ে পরীক্ষা করতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন : দুর্গাপুজোতেই পাওয়া যাবে জোকা-তারাতলা মেট্রো পরিষেবা, আশাবাদী কর্তৃপক্ষ
জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, অগাস্ট মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ে। তাই ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এখন থেকেই বিশেষ জোর দেওয়ার শুরু হয়েছে। শহর ও গ্রামীণ এলাকায় যাতে জল জমে থাকার কারণে মশার বংশবৃদ্ধি না ঘটে সে ব্যাপারে নজরদারি বাড়ানো হচ্ছে। বাসিন্দাদের এ ব্যাপারে সচেতন করা হচ্ছে।