মেমারির ভাড়া নেওয়া ঘরে হত বিশেষ প্রার্থনা। এছাড়াও প্রতি সপ্তাহে অনুষ্ঠান বাড়ি ভাড়া করে হত সমাবেশ। দিনভর সেখানে নানা ধর্মীয় কর্মসূচি চলত। অনেক দূর-দূরান্ত থেকে বাসিন্দারা আসতেন সেখানে।
বিশেষ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধর্মান্তরিত হতে আসা বাসিন্দাদের কাছ থেকে নেওয়া হত আধার কার্ডের ফটোকপি। নেওয়া হত ছবি, আঙুলের ছাপ। সেইসব আধার কার্ড দিয়েই তোলা হত সিম। সেই সিমের নম্বর পাঠিয়ে দেওয়া হত পাক গুপ্তচর সংস্থার কাছে। হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাক্টিভেট করার জন্য পাঠানো হতো ওটিপি। তার বদলে মিলত লক্ষ লক্ষ টাকা। এক-একটা নম্বরের জন্য মিলত আঠারো থেকে কুড়ি হাজার টাকা। সেই সিম নিয়ে ভারতে হোয়াটসঅ্যাপ কল, ভিডিও কল করত পাক গুপ্তচররা।
advertisement
জি টি রোড লাগোয়া তিনতলা বাড়ির দোতলায় সিঁড়ির পাশের ঘরেই থাকত রাকেশ মুকেশ। ২০২০ সালে সাত হাজার টাকায় এই ঘর ভাড়া নিয়েছিল রাকেশ গুপ্তা। মাকে নিয়ে থাকার কথা জানিয়েছিল সে। বাড়ির মালিকের কাছে জমা দিয়েছিল আধার কার্ডের ফটো কপি। এরপর তার সঙ্গে যোগ দেয় মুকেশ। এরপর ধীরে ধীরে আসতে থাকে আরও অনেকে। পাশের ঘরে থাকা বাসিন্দারা বলছেন, অনেক নতুন মুখকে আসতে দেখা যেত। ফিসফাস করে কথা হতো। ঘরের সামনে দিয়ে কেউ গেলে চুপ করে যেত। বোঝা যেত,ওরা কিছু গোপন করতে চাইছে। বাড়ির মালিক দিলীপ শিকদার থাকেন মেমারির দেশবন্ধুপল্লী এলাকায়। তিনি বলেন, আমি কোনওদিনই যেতাম না। ওরা গিটার বাজিয়ে প্রার্থনা করত বলে শুনেছি। কিন্তু তলে তলে যে ওরা এইসব কাজ করত, তা বুঝতে পারিনি।