ডিজিটাল দুনিয়ার হাতছানিতে যখন ছোটদের হাতেও ফোন আর হরেক অ্যাপ, তখন তাদের সুরক্ষার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই এই ভাবনা থেকেই কাঞ্চননগর দীননাথ দাস উচ্চ বিদ্যালয়ে শিশুদের সচেতন করতে ‘সমাজে অবদান’ প্রজেক্টের আওতায় শিক্ষামূলক এক বিশেষ কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছিল। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস কমিউনিকেশন বিভাগের চতুর্থ সেমিস্টারের একদল পড়ুয়া ‘সমাজে অবদান’ প্রজেক্টের আওতায় এই শিক্ষামূলক সেমিনারটি পরিচালনা করেন। তাঁদের মূল উদ্দেশ্য ছিল বিদ্যালয় স্তরের ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে ডিজিটাল সাক্ষরতা ছড়িয়ে দেওয়া এবং ইন্টারনেট ব্যবহারে তাদের নির্ভরতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
advertisement
সেমিনারে কীভাবে রোজকার পড়াশোনা, অনলাইন কেনাকাটা বা অন্যান্য দৈনন্দিন কাজ ইন্টারনেটের মাধ্যমে সুরক্ষিতভাবে সম্পন্ন করা যায়, হ্যাকিংয়ের মত বিপদ থেকে নিজেদের বাঁচিয়ে কীভাবে ডিজিটাল জীবনযাত্রা মসৃণ রাখা যায়, তার নানা কৌশলও শেখানো হয়।
আরও পড়ুন: ধেয়ে আসছে তুমুল বৃষ্টি…! চোখ রাঙাচ্ছে দামোদর, তড়িঘড়ি ফিল্ডে পুলিশ, যা করলেন এলাকায়
পূর্ব বর্ধমানের ওই বিদ্যালয়ের কম্পিউটার শিক্ষিকা অনন্যা ঘোষ বলেন, “বর্তমান সময়ে ছোটদের জন্য ডিজিটাল সুরক্ষার নির্দেশিকা অত্যন্ত জরুরি। ওরা যেহেতু নিত্যনতুন ফোন এবং অ্যাপ ব্যবহার করে, তাই এই ধরনের সেমিনার ওদের জন্য ভীষণ কার্যকর।” প্রধান শিক্ষক ড. সুভাষচন্দ্র দত্ত বলেন, “ডিজিটাল দুনিয়ায় নিজেদের এগিয়ে না রাখতে পারলে তা এক প্রকার আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত। আজকের এই সেমিনার তারই একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ।”
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
শিশুদের ডিজিটাল দুনিয়ার সম্ভাব্য বিপদ সম্পর্কে সচেতন থাকা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় কারণ তাতে তারা নিরাপদে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে শিখবে, যা তাদের ভবিষ্যৎ জীবনকে আরও সমৃদ্ধ করবে। এই ধরনের উদ্যোগ একদিকে যেমন শিশুদের ডিজিটাল সাক্ষরতা বাড়াতে তেমনই ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে ডিজিটাল জগৎ সম্পর্কে সচেতনতা বাড়বে। তাদের অনলাইন নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এই ধরনের সেমিনার এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে মনে করছেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকারা।
সায়নী সরকার