আসলে পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া পশ্চিম চক্রের তরফে কাটোয়া ১ ব্লকে আয়োজিত হয়েছিল ইন সার্ভিস টিচার্স ট্রেনিং ওয়ার্কশপ। এই কর্মশালায় বাংলা এবং গণিত বিষয় কীভাবে টিএলএম (টিচার্স লার্নিং ম্যাটেরিয়াল) এর মাধ্যমে পড়ুয়াদের আরও সহজ ভাবে বোঝানো সম্ভব সেটাই উপস্থাপন করেন বিভিন্ন শিক্ষক শিক্ষিকারা। কাটোয়া পশ্চিম চক্রের স্কুল পরিদর্শক ফ্যান্সি মুখার্জী বলেন, বিদ্যালয়ে যেভাবে বাচ্চাদের ক্লাস করতে দেখা যায় এখানেও একই রকম ভাবে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের দেখা গেল। শিক্ষক শিক্ষিকারা যত অ্যাক্টিভিটির মধ্যে যুক্ত থাকবেন এবং শিশু মনে প্রবেশ করে পড়াতে পারবেন তত বেশি ভাল শিখতে পারবে পড়ুয়ারা। এভাবে পড়াশোনা করলে পড়ুয়াদের কাছেও সবটা ‘বোঝা’ মনে হবে না। আগামী দিনেও এইধরনের কর্মশালার আয়োজন করা হবে।
advertisement
কাটোয়া পশ্চিম চক্রের কাটোয়া পৌরসভা এবং চারটি গ্রাম পঞ্চায়েতের ৭৬ টি স্কুলের একাধিক শিক্ষক শিক্ষিকারা উপস্থিত ছিলেন। কর্মশালার মূল উদ্দেশ্য ছিল যেন পড়াশোনা পড়ুয়াদের কাছে বোঝা হয়ে না দাঁড়ায়। বিভিন্ন খেলা অথবা আনন্দের সঙ্গে যেন তারা পড়াশোনা করে সবটা সহজ ভাবে শিখতে পারে। শিক্ষক শিক্ষিকাদের মধ্যে অনেকেই বিভিন্ন মডেল বানিয়ে এনেছিলেন, এছাড়াও অনেকে গানের মাধ্যমে, বিভিন্ন খেলার মাধ্যমে এবং ছবি এঁকে কীভাবে সহজেই পড়ুয়াদের বোঝানো সম্ভব তা সকলের সঙ্গে ভাগ করে নেন।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
কুপনের মাধ্যমে টিম করে প্রত্যেকটা টিমকে একটা করে টপিক দিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সেই নির্দিষ্ট টপিক কীভাবে পড়ুয়াদের সহজে বোঝানো যায় তা উপস্থাপন করেন শিক্ষক শিক্ষিকারা। শিক্ষিকা বিদিশা ব্যানার্জী বলেন, “এই কর্মশালার কারণে আশা করছি আমরাও অনেকটা উপকৃত হব। আর এভাবে পড়াশোনা করালে পড়ুয়াদের আগ্রহ বাড়বে এবং ভাল লাগবে। পড়ুয়াদের স্কুল ছুট কমাতে, বিদ্যালয়মুখী করতে এবং পড়াশোনাকে আরও সহজ করে তোলার জন্য এই কর্মশালা ছিল সত্যিই গুরুত্বপূর্ন। তবে এই সুযোগে শিক্ষক শিক্ষিকাদেরও শিশু সুলভ আচরণ করতে এবং একদিনের জন্য যেন দেখা গেল পড়ুয়াদের ভূমিকায়।”
বনোয়ারীলাল চৌধুরী