পূর্ব বর্ধমানের সমুদ্রগড়, পূর্বস্থলী অঞ্চল মূলত তাঁতিদের এলাকা। একসময় ঘরে ঘরে চলত তাঁত বোনার কাজ, তৈরি হত জামদানি। তবে মাঝখানে জামদানির বাজার খারাপ হয়ে গেলেও আবার নতুন করে বাজারে জামদানির চাহিদা বাড়ছে। হাতে বোনা কম দামের জামদানিও পুজোর আগে ভালই বিক্রি হচ্ছে। পূর্ব বর্ধমানের ঘোড়ানাশ গ্রামের তাঁতশিল্পী সুশান্ত দে বেশ কিছু শাড়ি পাঠিয়েছেন মালয়েশিয়ায়। সুশান্ত দে জানিয়েছেন, ” জামদানি শাড়ি বাঙালিদের সবথেকে বেশি পছন্দের। পুজোর জন্য স্পেশাল কিছু শাড়ি তৈরি করেছিলাম যেগুলো মালয়েশিয়ায় পাঠিয়েছি।”
advertisement
একটা সময় ছিল যখন বাংলার জামদানির খুব চাহিদা ছিল৷ কিন্তু কালের নিয়মে সেটা হারিয়েও গিয়েছিল৷ তবে বর্তমানে বাংলার তাঁতশিল্পীদের হাতের ছোঁয়ার সেই জামদানি আবার চাহিদার তুঙ্গে। পূর্ব বর্ধমানের তৈরি জামদানি বিদেশ পাড়ি দিচ্ছে ৷ যাচ্ছে ভারতের নানা রাজ্যেও। সমূদ্রগড়ের গনেশচন্দ্র কর্মকার তাঁত কাপড় হাটের এক ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, ” কম দামের জামদানি শাড়ির চাহিদা বেড়েছে। ভিন রাজ্য থেকেও পাইকাররা এসে শাড়ি নিয়ে যাচ্ছে।”
সুশান্ত দে-র তৈরি বেশ কিছু জামদানি শাড়ি গিয়েছে মালয়েশিয়ায়। পূর্ব বর্ধমানের ঘোড়ানাশ গ্রামের খ্যাতি রয়েছে তাঁত শিল্পের জন্য। প্রায় প্রত্যেকবছর এই গ্রামে তৈরি হওয়া শাড়ি পাড়ি দেয় বিভিন্ন জায়গায়। সুন্দর আধুনিক জামদানি শাড়ির চাহিদা ফের বাড়ছে। কাজেই পুজোর আগে আনন্দিত শিল্পীরা, নতুন করে আবার স্বপ্ন দেখছেন তাঁতিরা !
বনোয়ারীলাল চৌধুরী