রবি ঠাকুরের সহজ পাঠের বিখ্যাত কবিতার লাইনটা বাঁকুড়ার গ্রামে গেলে চট করে আপনার মাথার মধ্যে ভেসে উঠতে পারে। এই গ্রামগুলোয় আজও তৈরি হয় মাটির কলসি এবং কুঁজো। গরমে যার চাহিদা ব্যাপকভাবে বেড়ে যায়। গ্রীষ্মের দাবদহে ঠান্ডা জল পান করবেন, অথচ শরীরের ক্ষতি হবে না এমনটা করতে হলে ফ্রিজের জল আপনাকে ছাড়তে হবে। পরিবর্তে এইসব জায়গা থেকে মাটির কলসি বা কুঁজো বাড়িতে নিয়ে এসে তার জল পান করুন। সেই শীতল জল আপনার শরীর, মন, আত্মা জুড়িয়ে দেবে।
advertisement
আরও পড়ুন: চৈত্র ছট পুজো পালন জলপাইগুড়িতে! করলা নদীর তীরে ছট ভক্তের ঢল
গরমে মাটির কুঁজোর চাহিদা মেটাতে নরম মাটিকে পিটিয়ে পিটিয়ে বিশেষ দক্ষতায় তৈরি করা হয় জালা বা বড় কলসি। বাঁকুড়ার হরিহরপুরের কুমোর পাড়ার মৃৎশিল্পীরা অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে এই কাজ করেন। আর সেগুলো বিভিন্নভাবে পৌঁছে যায় ক্রেতাদের কাছে।
মাটির তৈরি এই জালাগুলো রোদে শুকিয়ে তারপর আগুনে পুড়িয়ে তবেই বাজারে বিক্রির যোগ্য করে গড়ে তোলা হয়। তবে এখন দাম আগের থেকে অনেকটা কমে গিয়েছে। তাছাড়াও ভঙ্গুর জিনিস হওয়ার কারণে বিক্রির জন্য বাজারে নিয়ে যাওয়ার সময় অনেক সময় পড়ে গিয়ে ভেঙে যায়। ফলে ক্ষতির মুখে পড়েন কুমোররা। আর তাই আজকের দিনে নিশ্চিত জীবিকার সন্ধানে কুমোর পরিবারের নবীন প্রজন্ম এই পেশা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে।
নীলাঞ্জন ব্যানার্জী